গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা
প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হারুন অর রশিদ (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রুবেল মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সেই সঙ্গে রুবেল মিয়ার বাড়িতে আগুন দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত হারুন অর রশিদ পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের খুরশেদ আলমের ছেলে। তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে গয়েশপুর বাজারে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালনা করতেন। অভিযুক্ত রুবেল মিয়া একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হারুন অর রশিদ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ঘাতক রুবেল রামদা নিয়ে জনসমক্ষে হারুন অর রশিদকে ধাওয়া করে বাজারের পাশেই এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে। দূর থেকে অনেকেই ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও এ সময় ভয়ে কেউ হারুন অর রশিদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। পরে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় নিহতের স্বজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাগলা থানা পুলিশ চারটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পাগলা থানার ওসি খায়রুল বাসার, এসআই শেখ রফিকুল ইসলাম, এসআই মদন চন্দ্র সিং, কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম আহত হন। পরে পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাসেত মিয়া বলেন, 'রুবেল মাদকাসক্ত ছিল। তারা উভয়েই প্রতিবেশী, তাদের মধ্যে কোনো বিরোধের ঘটনা জানা নেই।'
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ঢালী বলেন, 'প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রুবেলের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়। এ সময় উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে আহত হয়েছে রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তার।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, মারা যাওয়ার সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কি কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছেম তা তদন্ত চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বিএনপির একজন নেতা বলেন, হত্যাকান্ডের পেছনে কী কারণ, তা সুস্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে রাজনৈতিক কারণ নেই, সেটিও বলা যাচ্ছে না।