আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ জয়ের মধ্য দিয়ে গঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ জানুয়ারি; সেদিন বিকাল ৩টায় বসবে প্রথম অধিবেশন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন বলে সোমবার সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। ভোট হওয়া ২৯৯ আসনের মধ্যে ২২৩টিতে জয় পায় দলটি।
এছাড়া গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ১১টি, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ একটি ও ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং এক সময় বিএনপির জোটে থাকা কল্যাণ পার্টি একটি আসনে জয় পায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যে ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন তাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগেরই নেতা।
গোলযোগের কারণে সেদিন ময়মনসিংহ-৩ আসনের একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত ছিল। রোববার সেখানে ভোটের পর এ আসনে নৌকার প্রার্থী জয়ী হন। তাতে আওয়ামী লীগের আসন সংখ্যা বেড়ে হয় ২২৩টি।
এছাড়া একজন প্রার্থীর মৃতু্যতে নওগাঁ-২ আসনের ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ভোট হবে আগামী ১২ ফেব্রম্নয়ারি।
নতুন সংসদের ২৯৮ জন সদস্য গত ১০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে দায়িত্ব পালনের শপথ নেন। পরদিন সন্ধ্যায় সংসদ নেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গভবনে শপথ নেন নতুন সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
দলীয়ভাবে সংসদ সদস্যের সংখ্যায় জাতীয় পার্টি এবারও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তবে স্বতন্ত্র এমপির সংখ্যা তাদের ছয়গুণ বেশি হওয়ায় প্রধান বিরোধী দল কে হবে সেই আলোচনা চলছে ভোটের পর থেকেই।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালে ৩০ জানুয়ারি। সেই হিসাবে আগামী ২৯ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে একাদশ জাতীয়
হ
সংসদের মেয়াদ।
নিয়ম অনুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে অধিবেশনজুড়ে ওই ভাষণের ওপর আলোচনা করবেন সংসদ সদস্যরা।
সংসদের প্রথম অধিবেশনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। আওয়ামী লীগ গতবারের মতো এবারও স্পিকার হিসেবে শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পিকার পদে শামসুল হক টুকুকে মনোনীত করেছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ভোটে আওয়ামী লীগ মনোনীতরাই বিজয়ী হবেন।
স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের পর অধিবেশন কিছু সময় মুলতুবি রাখা হবে। ওই সময় সংসদে অবস্থানরত রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নতুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার শপথ নেবেন। পরে নবনির্বাচিত স্পিকারের সভাপতিত্বে শুরু হবে সংসদের বৈঠক।
বৈঠক শুরুর পর নতুন স্পিকার সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। পরে সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে।
কিছু সময়ের জন্য অধিবেশন মুলতুবি রাখার পর আবার সংসদের বৈঠক শুরু হলে স্পিকার রাষ্ট্রপতিকে ভাষণ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাবেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর অধিবেশন রেওয়াজ অনুযায়ী মুলতুবি করা হবে।