গত ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগের মাসের তুলনায় সামান্য কমেছে। এ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। একসঙ্গে ডিসেম্বরে গ্রাম-শহর নির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে, তবে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর (বিবিএস) সবশেষ পরিসংখ্যানে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। নভেম্বরে এই মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গত অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত প্রায় ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত অক্টোবর ও নভেম্বরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৩ ও ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সে হিসাবে ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। তবে এখনো তা সাড়ে ৯ শতাংশের কাছাকাছিই রয়েছে। ডিসেম্বরে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, আর শহরে এটি ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি হলো এক ধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে যাওয়ার অর্থ গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি সামান্য কমেছে। তবে বাজারে শীতের শাকসবজিসহ চাল, আটা, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আলুসহ বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম এখনো বাড়তি। পুরো বিষয়টি একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে। যেমন আপনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ১০০ টাকায় যত জিনিসপত্র কিনেছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওই টাকা দিয়ে সেই জিনিসপত্র পাবেন না। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আপনাকে ১০৯ টাকা ৪১ পয়সা খরচ করতে হবে। এই ৯ টাকা ৪১ পয়সা হলো মূল্যস্ফীতি। গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল এটাই। বিবিএসের হিসাবে সবশেষ ডিসেম্বরে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে। গত মাসে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তার বিপরীতে শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের তুলনায় গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি। অন্যদিকে গত মাসে দেশে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। ডিসেম্বরে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ; যা নভেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ডিসেম্বরে শহর ও গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি প্রায় সমান ছিল। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি গ্রামে ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ ও শহরে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে।
লক্ষ্য আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশের : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা শেখ হাসিনার নতুন সরকার নিয়েছে তা বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন টানা তৃতীয়বারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া আসাদুজ্জামান খান কামাল।
নতুন কোনো পরিকল্পনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি পথনির্দেশনা দিয়েছেন আধুনিক এবং স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য। সেগুলোর জন্যই আমরা পরিকল্পনা নেব এবং সে অনুযায়ী কাজ করব।’
প্রধানমন্ত্রী সব দপ্তরের মন্ত্রীদেরই নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আইশৃঙ্খলার জন্যই আমাদের মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হয়। আমাদের কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ চলে আসে। স্ট্রাইক, অনিয়ম, ডিজাস্টার সব কিছু নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে থাকে। নতুন চ্যালেঞ্জ সবসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেইস করে থাকে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পুলিশসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব বাহিনীকে আরও যুগোপযোগী এবং দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনার কথাও বলেন মন্ত্রী।
নির্বাচনের আগে বিএনপির হরতাল-অবরোধের মধ্যে নাশকতা ও সহিংসতা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
তিনি বলেন, ‘যারা অগ্নিকাÐ ঘটাচ্ছে এবং দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাদের এটা নতুন কিছু নয়। তারা ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে করেছে, প্রধানমন্ত্রীকে বারবার হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।যাত্রীসেবা ও লাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ে উন্নতির চেষ্টা করব : ফারুক খান
যাত্রীসেবা, লাগেজ হ্যান্ডেলিং সেবার উন্নতির চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন নতুন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
রোববার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও এই মন্ত্রণালয়ে ছিলাম। সুতরাং এখানকার কর্মকাÐ সম্পর্কে আমি জানি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে যে কাজগুলো চলছে সেগুলো যাতে দ্রæত শেষ হয় সেদিকটা দেখব। যাত্রী সেবা, লাগেজ হ্যান্ডেলিং কীভাবে আরও উন্নতি করা যায় এবং কীভাবে আরও নতুন নতুন ডেস্টিনেশনে বিমান যেতে পারে সেগুলো দেখার চেষ্টা করব।
পর্যটন খাতে আমাদের অপার সম্ভাবনা আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কীভাবে সেই সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করা যায় সেগুলো দেখব।
তার কোনো কর্মপরিকল্পনা আছে কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মপরিকল্পনায় কোন মন্ত্রণালয় কী করবে সেটি বলা আছে, সেই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। এর বাইরে বিভিন্ন সময় যে বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে সেগুলো করব।সিন্ডিকেট ভাঙার পদ্ধতি বের
করতে হবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, সিন্ডিকেট সব জায়গায় থাকে। তাদের কীভাবে ক্র্যাশ (ভেঙে) করতে হবে, সেটার পদ্ধতি বের করতে হবে। কাউকে গলা টিপে মারার সুযোগ নেই আমাদের। কর্মের মাধ্যমে এগুলোকে কন্ট্রোল করতে হবে। সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হয়ে যাবে।
কৃষিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রোববার সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। কৃষকদের উন্নতির জন্য সাধ্যের মধ্যে যা যা করার তা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক। লেখাপড়া করেছি, অধ্যাপনা করেছি, পিএইচডি ডিগ্রিও আমি নিয়েছি। সবকিছুতেই মোটামুটি টাচ দিয়ে এসেছি। চিফ হুইপ ছিলাম, সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অ্যাকটিভিটি ছিল আমার। তারপরও বলবো আমি এখনো শিখতেছি। শেখার শেষ নেই। আমি শিখেই কাজ করতে চাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এটি অবশ্যই একটি বড় মন্ত্রণালয়। আমাদের কৃষকদের উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যা আছে করবো। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, উদ্যোক্তারা সবাই মিলে যদি কাজ করি, এ শক্তি কিন্তু বড় শক্তি, এর রেজাল্টও কিন্তু আমরা পাব। এর আগে যিনি (ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক) কৃষিমন্ত্রী ছিলেন তিনি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মানুষ, কৃষিবিদ ছিলেন। আমি আশা করব সব কর্মকর্তা আমাকে সাহায্য করবেন।’সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব : আবদুর রহমান
সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন বলে মন্তব্য করেছেন নতুন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।
রোববার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘স্বচ্ছতা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। সে ব্যাপারে আমি আশাবাদী। এ মন্ত্রণালয়কে কীভাবে আরও উন্নত জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়, সেজন্য মন্ত্রণালয়ের সকলকে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, আমিষের সহজলভ্যতার জন্য ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। টিসিবির মতো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন পণ্য ভ্রাম্যমাণ বিক্রি করার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ মন্ত্রণালয়ের বিস্তারিত বলতে হলে আমাকে আরও বুঝতে হবে।অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে নিজে
পরিচ্ছন্ন থাকব : ভ‚মিমন্ত্রী
কাজ করার ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে নিজে পরিচ্ছন্ন থাকবেন এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচ্ছন্ন থাকার আহŸান জানাবেন বলে জানিয়েছেন নতুন ভ‚মিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
রোববার সচিবালয়ে প্রথম দিন অফিসে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি করতে পারে তাদের বিষয়ে আপনার নির্দেশনা কী? এ বিষয়ে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘আপনারা জানেন আমি একজন শিক্ষক ছিলাম। এ ছাড়া, বিগত সময়ে একটি মন্ত্রণালয়ে আমি কাজ করেছি। আমি নিজে পরিচ্ছন্ন থাকব, সকলকে পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য আহŸান জানাব।’
তিনি বলেন, ‘ভ‚মি মন্ত্রণালয় একটি চ্যালেঞ্জিং মন্ত্রণালয়, এটা আমি জানি। এর আগে যিনি (সাইফুজ্জামান চৌধুরী) মন্ত্রী ছিলেন তিনি অনেক কাজ করে গেছেন। আমি জানি তিনি খুবই উদ্যোগী লোক ছিলেন। আমি তাকে প্রশংসা করছি। তিনি যেখানে রেখে গেছেন সেখান থেকে ধরে আমি সামনের দিকে এগানোর চেষ্টা করব।’
ভ‚মি অফিসে নানা হয়রানি-দুর্নীতি হয়, সে বিষয়ে আপনার শক্ত অবস্থান হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে তো অবশ্যই শক্ত অবস্থান হবে। আমরা যদি সবকিছু ডিজিটালাইজড করতে পারি তবে সেই সুযোগটা তারা পাবে না।’
‘আমরা যদি একটি পর্যায়ে আইডির সঙ্গে একজন ব্যক্তির জমির হিসাব-নিকাশ, খতিয়ান সবকিছু প্রবেশ করাতে পারি সেক্ষেত্রে তার ক্ষেত্রেও একটা সিকিউর পজিশন আসবে। কেউ হস্তক্ষেপ করলে তিনি সেটি চট করে দেখে নিতে পারবেন। এ রকম একটা লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।’চলমান কাজ শেষ করাটাই
বড় চ্যালেঞ্জ : বিজ্ঞানমন্ত্রী
চলমান উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করে যেতে পারাটাকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘গত তিন টার্মে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখিনি। এখন আবার কী চ্যালেঞ্জ? এখন মূলত যেগুলো শুরু করেছিলাম সেগুলো শেষ করে যেতে পারাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব সময় সৎ লোককে মূল্যায়ন করেন। আমি মনে করি বাংলাদেশের সবাই যদি সৎভাবে কাজ করে তাহলে চারবার কেন পাঁচবার ছয়বার মন্ত্রী হতে পারব। এটাই প্রমাণ হয়েছে।’নিজে দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির কথা জানেন উল্লেখ করে নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তিনি নিজে কখনো দুর্নীতিতে জড়াননি। আর এই বিষয়ে তিনি ছাড়ও দেবেন না।
গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথের পর দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দেন খ্যাতনামা এই চিকিৎসক।
সকালে সচিবালয়ে আসার পর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাসচিব, পরিচালক, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকসহ কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। মন্ত্রী সবার সঙ্গে পরিচিত হন।
এরপর সাংবাদিকদের সামন্ত লাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির কথা আমিও জানি। আমি চেষ্টা করব। এটুকু বলতে পারি, দুর্নীতির ব্যাপারে আমি জিরো টলারেন্স।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও কখনো দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি। আমি এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি বলেছেন তুমি (কাজ) কর। যদি কোনো অসুবিধা হয় আমাকে টেলিফোন কর। আমি সেটাই করব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ওপর আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ সবার সহায়তা চান তিনি।
সামন্ত লাল সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন সামন্ত লাল সেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।বস্ত্র ও পাট খাতের সমৃদ্ধি অর্জনকে
চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি : বস্ত্রমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘পাট খাতের সমৃদ্ধি অর্জনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। বস্ত্র ও পাট খাতকে সজীব-সতেজ করতে আস্থার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব।’
রোববার দুপুরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে বস্ত্র ও পাট সচিব আব্দুর রউফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, রপ্তানি পণ্য হিসেবে শুধুমাত্র গার্মেন্টস পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কার্যকরি উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।অপপ্রচার বন্ধ করতে চান
তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় সে বিষয়ে একটি কাঠামো দাঁড় করানোর চিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার হয় বা হচ্ছে। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করেও অপপ্রচার হয়, এটা আমরা সবাই জানি। সমস্যা যেটি হয়, এই অপপ্রচার রোধ করতে গিয়ে আমরা চিন্তা করি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোনো বিষয় দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে কাজেই নতুনভাবে আমাদের ভেবে কর্মকৌশল নিতে হবে। কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে আমরা জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারি, সেটির একটি কাঠামো দাঁড় করাতে পারি। কারণ দিনশেষে সবকিছু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে যদি অপপ্রচার অবাধ ও স্বাধীনভাবে বিস্তৃতি লাভ করার সুযোগ পায়। তাহলে কিন্তু কোনোকিছুই দিনশেষে গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারবে না, সেটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলি আর যাই বলি। সেখানে আমাদের একটি কর্মকৌশল নিতে হবে আলাদা করে।’
এ সময় সদ্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিদায় নেন এবং নতুন প্রতিমন্ত্রীকে সহায়তার আশ্বাস দেন।প্রাথমিকের সঙ্গে মাধ্যমিকের
সমন্বয় হবে : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিকের সঙ্গে মাধ্যমিকের সমন্বয় আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম রুমানা আলী টুসী।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকের সঙ্গে মাধ্যমিকের সমন্বয় করে সবাইকে একটা সুন্দর জায়গায় নিতে চেষ্টা করব। এটাতো আসলে একটা জেনারেশন তৈরির জায়গা। স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে কাজ শুরু করব।’
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের শুরুর দিনেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটা ইশতেহার দিয়েছেন। সেই ইশতেহার পূরণের লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। কারণ জনগণের কাছে এটা আমাদের অঙ্গীকার। সেই অঙ্গীকার পূরণে আমি গুরুত্ব দেব।’রেমিট্যান্স আনায় জোর
দিতে চান প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
বিদেশে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো এবং রেমিট্যান্স আনার দিকে নতুন সরকার জোর দেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
রোববার প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আনার দিকে এবং কর্মসংস্থানের দিকে দেখব। দক্ষ শ্রমিক, দক্ষ মানুষ তৈরি করতে চাই আমরা। যারা বিদেশে যেতে চায় তাদের উপযুক্তভাবে ট্রেনিং দিয়ে তাদের পাঠালে আমাদের আরও বেশি ভালো হয় এবং বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ হয়।’
শফিকুর রহমান বলেন, যারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছে বিদেশে কর্মের জন্য গেছে, তাদের আশ্বস্ত করতে হবে এ দেশ সবার। যারা বিদেশে ব্যবসা করছে তাদের ব্যবসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সবাই যেন বিনিয়োগ করতে পারে।
রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়বে। অটমেটিকলি বাড়বে। কারণ, আমরা শুধু আনব না, বিদেশে বিক্রিও করব। আমাদের প্রত্যেক সেক্টর মোটামুটি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো আমরা দেখতেছি, দেখব। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’