বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

দিনাজপুরের তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি, অব্যাহত থাকতে পারে আরও সাত দিন, ঢাকায়ও শৈত্যপ্রবাহের আভাস
যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। ছবিটি রোববার রাজধানীর গেন্ডারিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা

টানা শীতে কাঁপছে সারাদেশ। যত দিন যাচ্ছে সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রার পারদও নিম্ন্নমুখী হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ঘনকুয়াশা। এতে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আরও এক সপ্তাহ এ পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। রোববার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল ছিল ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা, সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে কয়েক স্থানে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের অনুভূতি তীব্র করে তুলেছে। রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

রোববার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৫, যা শনিবার ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ১২ ডিগ্রির নিচে থাকা অঞ্চলগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮.৮, চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীতে ৯.৭, নীলফামারীর ডিমলা, সৈয়দপুর ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ১০.২, রংপুরে ও নওগাঁর বদলগাছিতে ১০.৩, বরিশালে ১০.৫, যশোরে ১০.৮, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১১.৩, সাতক্ষীরায় ১১.৪, ভোলা, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১১.৫, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ১১.৬, গোপালগঞ্জে ১১.৮, কুমিলস্না, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, বগুড়া ও মাদারীপুরে ১২ ডিগ্রি।

এ সময়ে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, 'এরকম ওয়েদার আরও চার-পাঁচ দিন থাকবে। বৃহস্পতি-শুক্রবারে কিছুটা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরে কুয়াশার ভাব কমবে। শীত কমে তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়বে। দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুর, পঞ্চগড়, ঈশ্বরদী এলাকায় শীতটা বেশি থাকবে।'

ঢাকায় এখন শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও বৃষ্টির পর শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।

এদিকে ঢাকায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান এখন মাত্র ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে রাজধানীতে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমলে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। এই হিসাবে রোববার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৬ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অর্থাৎ তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ৩ ডিগ্রি।

জানা যায়, এই পার্থক্য যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসে, তাহলেই শীতের অনুভূতি বাড়তে থাকে। আর যদি পার্থক্য পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসে তবে শীতের অনুভূতি প্রকট থেকে প্রকটতর হয়। অর্থাৎ হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হয়। ঢাকার মতো দেশের প্রায় বেশিরভাগ জেলায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার

পার্থক্য আজ অনেক কমে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও সোমবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

অন্যদিকে শীত বাড়ায় কষ্ট বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের। ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তরা ভিড় করছেন হাসপাতালে। সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এ সময়টায় যতটা সম্ভব ঘরের ভেতর থাকা এবং শরীরকে সবসময় গরম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি সবসময় গরম খাবার খাওয়া, গরম পানি পান করার কথা বলছেন তারা।

শীত উপেক্ষা করে ক্ষেতে কাজ করছেন কৃষকরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলায় গত কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। সরকারিভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে তীব্র শীত উপেক্ষা করেও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

এদিকে বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী। কুলিয়ারচর উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, 'এ পর্যন্ত কুলিয়ারচরে ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।'

বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, কয়েকদিন ধরে ঘনকুয়াশা আর তীব্র শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছেন মানুষজন। সেইসঙ্গে বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। কুয়াশা আর তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বোরোর বীজতলা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলা পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখলেও উপকার না পাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে তাদের।

সৈয়দপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়ার কৃষক মান্নান ও সাইফুল জানান, কুয়াশায় বেশিরভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এবার চড়া দামে চারা কিনে ধানের আবাদ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, এবার প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। বীজতলা নষ্টের ব্যাপারে তিনি বলেন, যেসব বীজতলা কুয়াশায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলো জমিতে সেচ দিয়ে সারাদিন ভিজিয়ে রেখে বিকালে পানি বের করে দিতে হবে। এতে বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না। প্রয়োজনে এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আছেন, তারা কৃষকদের সহায়তা করবেন।

রাজশাহীর তাপমাত্রা ৯.৭ ডিগ্রি

রাজশাহী অফিস জানায়, দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমেছে। চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পুরো রাজশাহী। শীতজনিত নানা জটিলতায় রোগীদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, রোববার সকাল ৬টায় রাজশাহীতে ৯.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এর আগের দিন শনিবার সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি।

রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালসহ রাজশাহীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

তিনি বলেন, 'উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সগুলোতেও রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে ভর্তি রোগীর চেয়ে আউটডোর রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে পরিস্থিতি খুব খারাপ, এমনটা না। এ সময়টায় রোগী কিছুটা বাড়ে। সে রকমভাবে ব্যবস্থাপনাও করা আছে।'

শীতের কাপড় কেনাকাটায় ভিড় বেড়েছে

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, টানা শীতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে গত ৩ দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে করে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। হাড় কাঁপানো এ শীতে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা দুর্ভোগে পড়েছেন বেশি। শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দিজ্বর ও বয়ষ্ক লোকেরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন হাটবাজারে বেড়েছে শীতের কাপড় কেনাকাটায় ধুম।

অন্যদিকে শীতে কৃষিতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। প্রচন্ড শীতে আলু ক্ষেতে পচানি রোগ দেখা দিয়েছে ও অনেক বোরো ধানের বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেছে।

সূর্যের দেখা নেই ৬ দিন

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। টানা শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরের মানুষজন। গত ৬ দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি এ জেলায়। ফলে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে দরিদ্রদের মধ্যে।

ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায়, উপজেলায় আসা ৫ হাজার ৮০০ কম্বলের মধ্যে ১০ ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০টি।

রোববার সকালে ডিমলায় ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। তীব্র শীতে ডিমলার তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর চর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে অসহায় পরিবারগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। শীতের পুরনো গরম কাপড়ের দোকানে শুরু হয়েছে উপচেপড়া ভিড়। এ ছাড়া শীতজনিত রোগে বয়স্ক ও শিশুদের নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ক্লোড ডায়রিয়া, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডায় কাবু জনজীবন

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, হাঁড় কাঁপানো শীতে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। খেটে খাওয়া মানুষ যেতে পারছেন না কাজে। এদিকে তীব্র শীতের কারণে ইরি-বোরো বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। টানা ৫ দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কর্তৃপক্ষ রোববার সকাল ৯টায় রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, 'গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। দিনে সবসময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্য দেখা যায় না। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী বাঁধ ও চরের কয়েক হাজার মানুষ।'

শীত ও ঠান্ডার কারণে বাড়ছে সর্দিজ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগ। ইতোমধ্যে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে এসব রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বেড়াপাড়া এলাকার ইসমাইল হাজি (৭৫) বলেন, 'সংসদ নির্বাচনের পরদিন (৮ জানুয়ারি) থেকে ঠান্ডায় অবস্থা খুব খারাপ। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। ক্ষণিকেই হাত-পা বরফ হয়ে যায়। রাতে ও সকালে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। আমরা যারা দিন এনে দিন খাই, তারা সবাই কষ্টে আছি।'

রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, 'এবারের শৈতপ্রবাহে ঠান্ডা এবং শীত দুটোই অনেক বেশি। এ কারণে শিশু এবং বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালের আউটডোরে ৫ শতাধিক রোগী চিকিৎসা ও ওষুধ নিয়েছে। তবে হাসপাতালে এজমা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫-৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।'

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায় বলেন, 'এ অঞ্চলে শীত অনেক বেশি। ঠান্ডাও পড়েছে এ এলাকায়। ইতোমধ্যে রাজারহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার দুস্থ অসহায়দের মধ্যে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে