হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় তথা ১৫৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বিকালে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তিনি গুলশানের ভাড়া বাসা 'ফিরোজা'য় আসেন। বিকাল ৫টায় হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা হয়ে সন্ধ্যা ৭টায় বাসায় পৌঁছান খালেদা জিয়া।
দলীয়প্রধান বাসায় ফিরবেন এমন খবরে হাসপাতালের বাইরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী জড়ো হন। তারা নেত্রীর গাড়ির পেছন পেছন বাসভবন পর্যন্ত যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীসহ দলের নেতাকর্মীরা। এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনকে তার গুলশানের বাসভবনে স্বাগত জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানাসহ বিভিন্ন নেতারা।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ম্যাডাম বাসায় গেছেন। বোর্ডের সদস্যরা তার চিকিৎসা বাসায় গিয়ে করবেন।
২০২৩ সালের ৯ আগস্ট গুরুতর অসুস্থ হলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৭৮ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আথ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার সিরোসিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ প্রভৃতি রোগে ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি মেলেনি। এহেন পরিস্থিতিতে গত বছরের ২৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি নেত্রীর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। ২০১৮ সালে কারাবন্দির পর খালেদা জিয়া একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রম্নয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে চিকিৎসার জন্য ছয় মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে তার পরিবারের আবেদনে দন্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। তিনি গুলশানের বাসা 'ফিরোজা'য় অবস্থান করেন। অসুস্থ হলে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে বাসাতেই তিনি চিকিৎসা নেন।