৩০ দেশের ১১৭ নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন
প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:২৫
যাযাদি রিপোর্ট
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিজ দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে ৩০ দেশের ১১৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এসব পর্যবেক্ষক কমিশনের অনুমোদন (এক্রিডিটেশন) পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন ২২৭ জন বিদেশি। তাঁদের মধ্যে ১৫৬ জন পর্যবেক্ষক এবং ৭১ জন বিদেশি সাংবাদিক। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরাও ছিলেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য মিশন যথাক্রমে তাদের ২৯ এবং ১০ জন কর্মীর পর্যবেক্ষণের অনুমতির জন্য আবেদন করে।
পরে ওই দু'টি মিশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না বলে ইসিকে জানায়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রাষ্ট্রীয়, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগতভাবে- এই তিন শ্রেণিতে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজ করবেন। এদের মধ্যে রাশিয়া, ভারত, মরিশাস, শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি থাকছেন। সংস্থা হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই), কমনওয়েলথ, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা, আরব পার্লামেন্ট এবং আফ্রিকান ইলেক্টোরাল অ্যালায়েন্স নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্ত থাকবে।
এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশিদের তালিকায় সংখ্যার শীর্ষে আছে কমনওয়েলথ। সংস্থাটির ১৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর এনডিআই এবং আইআরআইয়ের ১২ জন, আফ্রিকার ইলেক্টোরাল অ্যালায়েন্সের ১০ জন এবং ইইউর চারজন প্রতিনিধি যুক্ত থাকবেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে। বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ঢাকায় জাপান দূতাবাসের ১৬ জন কর্মী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইসির অনুমোদনপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের তালিকায় ৩০ দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, ভারত, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, ফিলিস্তিন, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ এবং ভুটানের নাগরিক রয়েছেন।
\হবাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাতে বাংলাদেশের বিদেশি মিশনগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছিল সরকার।