মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
রায়ের পর ড. ইউনূস

যে দোষ করিনি, সেই দোষে শাস্তি পেলাম

যাযাদি রিপোর্ট
  ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যে দোষ করিনি, সেই দোষে শাস্তি পেলাম

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, 'যে দোষ করিনি, সেই দোষে শাস্তি পেলাম। এই দুঃখটা মনে রয়ে গেল।' সোমবার শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা সোমবার শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

রায়ের সময় ডক্টর ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আবেদনের পর তাকে এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে জামিন দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার পর ডক্টর ইউনূসের আইনজীবী আবদুলস্নাহ আল মামুন এ রায়কে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শ্রম আদালতের এ রায় অপূর্ণাঙ্গ। ডক্টর ইউনূস আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাননি। তিনি আরও বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, 'কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ডক্টর ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের যে মামলা করেছিল, সেটি আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, শ্রম আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। তারা (গ্রামীণ টেলিকম) শ্রম আইন না মেনে নিজস্ব আইন মেনেছেন। এ জন্য দুইবার তাদের কারণ দর্শানো হয়। তারা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তাদের যে ত্রম্নটিগুলো ছিল, সেটি তারা সংশোধন করেননি।

এদিন বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ডক্টর ইউনূস রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকার অস্থায়ী আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সারা হোসেন প্রমুখ।

আইরিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ডক্টর ইউনূসের সাজার রায়ে তিনি বিস্মিত। তাকে (ডক্টর ইউনূস) হয়রানি করার জন্যই এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে