ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফা দাবি উত্থাপন

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | আপডেট: ১৫ মে ২০২৩, ০০:৪৪

যাযাদি ডেস্ক
পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্প নগরী গড়ে তোলা, বাজারের দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ট্যানারি শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য দ্রম্নত নূ্যনতম মজুরি বোর্ড গঠন, নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ ও ঘোষণাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইউনিয়নের নেতারা। ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় কাঁচামালনির্ভর চামড়া শিল্প দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্পখাত হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দেশের স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণেও চামড়া শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এই শিল্পের শ্রমিকরা শোষিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত। চাকরিচু্যতির পাশাপাশি নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে কোনোমতে টিকে আছে শ্রমিকরা। তাই চামড়া শিল্পে বিরাজমান সংকট কাটিয়ে উঠতে ১৩ দফা দাবি জানাচ্ছি। ট্যানারি ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- সরকার ঘোষিত নূ্যনতম মজুরি এবং সিবিএ চুক্তি মোতাবেক যে মজুরি নির্ধারিত রয়েছে তার কম মজুরি দিয়ে শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না, শ্রম আইনের সব ধারা বাস্তবায়নে দ্রম্নত ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান ছাড়া শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ, শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে সেফটি কমিটি গঠন, কার্যক্রম জোরদার এবং পরিদর্শন কার্যক্রম জোরদার করা, শিল্প নগরীতে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং আবাসনের ব্যবস্থা ও প্রসূতি কল্যাণ সুবিধার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, সোশ্যাল কমপস্নায়েন্স নিশ্চিত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সিইটিপিকে কার্যকর করে পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক চামড়া শিল্প নগরী গড়ে তোলা, অসৎ উদ্দেশ্যে শ্রমিক হয়রানি ও চাকরিচু্যত বন্ধ করা, মধ্যস্বত্বভোগী কন্ট্রাক্টর বা ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করানো বন্ধ, আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ মোতাবেক অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিতসহ ট্রেড ইউনিয়ন চর্চায় বহির্ভূত হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা, ট্যানারি শিল্পকে আনুষ্ঠানিক সেক্টরের ধারাবাহিকতায় ফিরিয়ে আনা ও শ্রমিকদের হ্রাসকৃত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ।