মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি'র দাবি

বাজার ব্যবস্থায় সুশাসনের অভাবে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
বাজার ব্যবস্থায় সুশাসনের অভাবে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, মহামারির সময় যখন মানুষের আয় কমে গেছে, কর্মসংস্থান নেই অনেকের। এমন সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী বড় উদ্বেগের বিষয়।

সিপিডি মনে করছে, অক্টোবর মাস পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশের যে কথা বলা হচ্ছে বাস্তবতার সঙ্গে তার বিরাট ফারাক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের উন্নয়নে স্বাধীন পর্যালোচনার আওতায় 'বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২১-২০২২, প্রথম অন্তর্র্বর্তীকালীন পর্যালোচনা' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফাহমিদা খাতুন বলেন, উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি জীবনযাত্রার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একটি বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা, আরেকটি বিষয় হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থায় সুশাসনের অভাব।

তিনি বলেন, 'অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতির

হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। বাস্তবতার সঙ্গে যার বিরাট ফারাক। আমরা মনে করি অতিমারীর সময়ে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ঋণের ক্ষেত্রেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।'

এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ডক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'আমরা জানি সারের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন যেভাবে দাম বেড়েছে, তাতে ২২ থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকার মতো প্রয়োজন হবে। কীভাবে সমন্বয় করবে সরকার? আবার গ্যাসের দামও বাড়ছে। যেভাবে রাজস্ব আহরণ হচ্ছে, তা দিয়ে মূল্য সমন্বয় করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে।'

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কষ্টসাধ্য উলেস্নখ করে সিপিডি বলেছে, এখন পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে রাজস্ব আহরণ করছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বাকি সময়ে ৩০ শতাংশ হারে রাজস্ব আদায় করতে হবে। এটা খুবই কষ্টকর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে ৩২ শতাংশের বেশি হারে আদায় করতে হবে। অন্যদিকে আয়করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ২৭ শতাংশ হারে কর আসতে হবে। রাজস্ব আহরণে যদি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হয়, তাহলে বাজেট বাস্তবায়ন বড় হুমকির মুখে পড়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে