আজকের যায়যায়দিন

আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করা গেলেও সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে (পুলিশ) আগে জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত জাতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল সভা শেষে এসব জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা আশঙ্কা করছি, মহান বিজয় দিবসে আনন্দের দিনে লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসবে। বেরিয়ে এলে আমরা তাদের নিরাপত্তা দেব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে চলবে তা নিয়ে আলোচনা করব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান যারা করতে চান তারা করতে পারবেন, তবে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগে জানাতে হবে। কোথায়-কীভাবে অনুষ্ঠান করছেন, কতজনের আয়োজন! কারা কারা সে অনুষ্ঠানে থাকবেন! অনুষ্ঠানগুলোতে যাতে নাশকতা না করতে পারে সেজন্য দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গোয়েন্দাদের মতামত মাথায় রেখে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমনাগমন ও পুষ্পস্তবক অর্পণকালীন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যেকবার যেভাবে নেওয়া হয়, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠিক সেভাবেই থাকবে।' কূটনীতিকদের যারা স্মৃতিসৌধে যাবেন প্রতিবারের মতো তাদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্মৃতিসৌধ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার যাওয়ার সব রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। রাস্তাঘাটগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিজয় দিবসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা সঠিকভাবে উত্তোলন করতে হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।