শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
এমসি কলেজের সেই গণধর্ষণ

ডিএনএ টেস্টে চারজন জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে

সিলেট অফিস
  ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:২৫
ক্লকওয়াইজ-সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলা শাহ মাহবুবুর রহমান ও অর্জুন লস্কর

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের সঙ্গে চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে ডিএন টেস্টে। অন্যরা ধর্ষণে সহায়তা করেছেন। আলোচিত এই মামলার আসামিদের ডিএন টেস্টের প্রতিবেদনে এসব তথ্য মিলেছে। পুলিশ এখন মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিলের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। ডিএন টেস্টে ধর্ষক হিসেবে প্রমাণিতরা হলেন-সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলা ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ও অর্জুন লস্কর। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্তি উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এ আশরাফ উলস্নাহ বলেন, আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছিল মামলার তদন্তের মূল অগ্রগতি। অভিযোগপত্র দাখিলে ডিএন টেস্টের অপেক্ষা ছিল। সম্প্রতি ডিএন টেস্টের প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এখন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি চলছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ (২১)। ছাত্রাবাসের আঙিনায় স্বামীকে আটকে রেখে প্রাইভেট কারের ভেতর ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় মামলা করেন। ধর্ষণের পর ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ সিলেট এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। এদিকে, মামলার পর সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসাি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলা ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলা ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসু এবং সন্দেহভাজন আসাি মিসবাউর রহমান ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিন নামের আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারের পর আটজন আসামিকে পর্যায়ক্রে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা। জবানবন্দিতে প্রধান আসাি সাইফুর, তারেক, শাহ মাহবুবুর ও অর্জুন লস্কর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। রবিউল ও মাহফুজুর ধর্ষণে সহায়তা করার কথা স্বীকার করেন। সন্দেহভাজন দুই আসামিও আদালতে জবানবন্দি দেন। এর আগে ছয় আসামির ডিএন নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়ে শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, তদন্তের সব কাজ শেষ। শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে