বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
করোনায় শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের পরামর্শ

ছুটি কমিয়ে ক্লাসের সংখ্যা ও সময় বাড়াতে হবে

করোনা সংক্রমণের কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সর্বস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাতিল হয়েছে প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকে পরীক্ষা বাতিল করে অটো প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের উপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন। স্কুল ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে লটারির মাধ্যমে হবে শিক্ষার্থী বাছাই। পিছিয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যসূচি ও সময়কালও পিছিয়ে যাচ্ছে। এসব সিদ্ধান্ত কতটা সময়োপযোগী এবং ক্ষতি পোষাতে আগামীতে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে, তা নিয়ে দেশের চারজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদের সঙ্গে কথা বলেছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক নূর মোহাম্মদ
এ কে আজাদ চৌধুরী
  ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১০:২৫

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, করোনার মধ্যে শিক্ষায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার বাইরে সরকারের কোনো কিছু করার ছিল না। স্কুল খুলে দেওয়ার দাবি উঠেছিল, সরকার যদি খুলে দিত এখন আবার বন্ধ করতে হতো। একটি বাচ্চা স্কুলে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলে সারাদেশে হুইচই পড়ে যেত। সব মিলিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে তা মন্দের ভালো। তিনি বলেন, আগামী বছরে কখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারবে তাও অনিশ্চিত। তবে যখনই খোলা হোক, করোনাকালীন শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে সরকারকে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিতে হবে। বার্ষিক ও সাপ্তাহিক ছুটির সংখ্যা কমিয়ে ক্লাসের সংখ্যা ও সময় বাড়াতে হবে। ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। লটারির মাধ্যমে স্কুলে ভর্তির প্রসঙ্গে এ কে আজাদ বলেন, অটো পাস, পরীক্ষা না দিয়ে পরের ক্লাসে যাওয়া, লটারি এগুলো শিক্ষার্থীদের ওপর ভালো খারাপ দুই-ই প্রভাব পড়বে। এর ফলে যারা লেখাপড়ায় অমনোযোগী তাদের জন্য ভালো হলেও মনোযোগী শিক্ষার্থীদের জন্য লটারি ব্যবস্থা হতাশাজনক। মেধা দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষার্থী পাবে না আশানুরূপ প্রতিষ্ঠান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে