শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিতর্ক

ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নই :মামুনুল হক

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:১৯
মাওলানা মামুনুল হক

একটি মহল সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছে দাবি করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একজন মরহুম মুসলিম নেতা হিসেবে পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা করি এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। কখনও কোনোভাবেই এমন একজন প্রয়াত জাতীয় নেতার বিরুদ্ধাচারণ করি না এবং করাকে সমীচীনও মনে করি না। আবারও স্পষ্ট করে বলছি, আমাদের বক্তব্য ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়। রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউলস্নাহ আমীন, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী প্রমুখ। মাওলানা মামুনুল হক বলেন, হ কিছুদিন ধরে ঢাকার ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের ইসু্যতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে দেশের ধর্মীয় অঙ্গন। স্বাভাবিকভাবেই ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ কিংবা প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণ অনৈসলামিক সংস্কৃতি হওয়ায় আলেমসমাজ এর প্রতিবাদ করছে। সেই সূত্রে আমিও ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণের বিরুদ্ধাচারণ করে বক্তব্য তুলে ধরেছি। কিন্তু সুকৌশলে একটি মহল ভাস্কর্য নির্মাণের এই বিরোধিতাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতা বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছে। খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আমাদের এমন স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান থাকার পরও লক্ষ করছি, একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে (ব্যক্তি মামুনুল হককে) সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আর এজন্য জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অমূলক ও কল্পিত অভিযোগ আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, আমার বাবা উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ এবং দেশের একজন বর্ষীয়ান নেতা মরহুম শায়খুল হাদীস আজিজুল হক; যিনি চারদলীয় জোটের শীর্ষ চার নেতার অন্যতম একজন ছিলেন এবং তার দেওয়া আদর্শিক-৫ দফার সঙ্গে একমত হয়েই ২০০৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তিনি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক যুগপৎ একটি ঐতিহাসিক ধারার প্রতিনিধিত্ব করে গেছেন, যা উপমহাদেশে দেওবন্দি ধারা হিসেবে পরিচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে সেই ধারারই একজন রাজনৈতিক কর্মী। তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র অথবা গোপন আঁতাতের মাধ্যমে রাষ্ট্র কিংবা সরকারবিরোধী কোনও কর্মসূচি আমাদের নেই। অতীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জোটবদ্ধভাবে রাজনীতিতে ভূমিকা রাখলেও বর্তমানে আমাদের সংগঠন খেলাফত মজলিস এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনও রাজনৈতিক জোটে যুক্ত নই। এ সময় গত শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে আটক ২৩ মিছিলকারীকে অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে