শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৮১ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত ২৪১৯, মৃতু্য ২৮

বর্তমানে দেশে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাস বহনকারী রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৭৩৩ জন
যাযাদি রিপোর্ট
  ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

দেশে গত একদিনে আরও ২ হাজার ৪১৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বা কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা গত ৮১ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ৫শ ৮২ জন। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ জন। এই দিন মৃতু্য হয়েছে ২৮ জনের। আর করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৪১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাস বহনকারী রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৭৩৩ জন।

সোমবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ১৮৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬১১ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হওয়া আর মৃতুদের বাদ দিলে বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৭৩৩ জন। এদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন না। অনেকেই নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছে। ফলে

হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর তেমন চাপ নেই।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। ২৯ দিনের মাথায় ২৩ নভেম্বর তা সাড়ে চার লাখের থেকে মাত্র ২৪০ জন কম রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন করোনা বা কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃতু্যর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে সোয়া ৫ কোটি ৮৬ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ৮৮ হাজার জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৭টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৩১টি নমুনা। এই নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং মৃতের হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তথ্য অনুযায়ী, গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ২১ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের এবং ১ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৪১৬ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৯৩০ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৪৮৬ জন নারী।

মৃতু্যদের মধ্যে ৩ হাজার ৩৯৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৬৭৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৭৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৩৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৪৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৯৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২৩৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৯১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৮৮ জন খুলনা বিভাগের, ২১৫ জন বরিশাল বিভাগের, ২৬৩ জন সিলেট বিভাগের, ২৯১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৩২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে