র্যাবের অভিযার্ন যাবের অভিযান

দুই হাসপাতাল সিলগালা, ৬ জনের দন্ড

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালায়র্ যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত -যাযাদি
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছের্ যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও দুটি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়। হাসপাতাল দুটি হচ্ছে, মক্কা-মদিনা জেনারেল ও নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল। বুধবার রাত পৌনে ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলা অভিযানের নেতৃত্ব দেনর্ যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন ওটিবয় নিজেই রোগীর অপারেশন করছিলেন। জানা গেছে, নানা অনিয়ম ও অপচিকিৎসার অভিযোগে বুধবার রাত ১০টার দিকের্ যাব-২ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকজন নিয়ে অভিযান শুরু করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল, নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও ক্রিসেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর তলস্নশি চলিয়ে দেখা যায় মক্কা-মদিনা হাসপাতালে ওটিবয় দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। এর দায়ে মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নূরুন নবীকে এক বছর, ওটিবয় আনোয়ার হোসেনকে ছয় মাস ও আবদুর রশীদকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেয় র?্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, মক্কা হাসপাতালে অভিযান শেষে তার পাশেই নূরজাহানে তলস্নশি চালানো হয়। সেখানে গিয়েও দেখা যায় ওই হাসপাতালের ৫ম শ্রেণি পাস ওটিবয় জাহাঙ্গীর হোসেন রোগীর অস্ত্রোপচার করছিলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দালাল নেতা বাবুল হোসেন। পরে জাহাঙ্গীরকে দুই বছর এবং দালাল বাবুলকে এক বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল ও নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়। এরপর গভীর রাতে অভিযান চালানো হয় ক্রিসেন্ট হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের মাধ্যমিক পাস মালিক আবুল হোসেন অধ্যাপক পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করান। এ কারণে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। ওই রাতেই ৬ জনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগাছে পাঠানো হয়। র্ যাবের আইন ও গণমাধ্যেম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিলস্নাহ বলেন, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছিল। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে নামসর্বস্ব ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ছাড়া জটিল অস্ত্রোপচার, অপচিকিৎসায় রোগীদের মারাত্মক ক্ষতিসহ প্রাণহানি, রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বিল আদায়, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ প্রভৃতি। এ ছাড়া পঙ্গু হাসপাতালসহ ওই এলাকায় অবস্থিত সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের ভাগিয়ে একটি দালাল চক্র বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগ পেয়ে ওই হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালানো হয়।