নৌ-কর্মকর্তাকে মারধর ইরফান ও জাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন। শুনানির সময় আদালতে নৌবাহিনীর একটি টিম হাজির ছিল। এর আগে সকাল ১০টায় তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ধানমন্ডি থানার ওসি একরাম হোসেন জানান, নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানার পুলিশ পরিদর্শক আশফাক রাজীব হাসান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এরপর ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর রিমান্ড ও গ্রেপ্তার বিষয়ে শুনানির জন্য গতকাল বুধবার দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন। আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি বলেন, এই মামলায় আগে থেকে রিমান্ডে থাকা গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গতকাল রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে তিন দিনের রিমান্ডে থাকা দিপুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সময় তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সাথে এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হবে। জানা গেছে, গত রোববার রাতে হাজি মো. সেলিমের 'সংসদ সদস্য' লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলে পরদিন সোমবার ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান। মামলার আসামিরা হচ্ছেন ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রম্নপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজন। এ মামলায় সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেপ্তার করের্ যাব। এছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ, ইয়াবা ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়। মদ্যপান করা ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেনর্ যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় দীপুকে তিন দিন ও মিজানুরকে একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সর্বশেষ ইরফান ও জাহিদকেও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেল তদন্তকারী কর্মকর্তা।