উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-ইন পয়েন্টে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে ব্যবসায়ী ও পুলিশের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৮টায় উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন। যৌথ অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সচিব আবু জাফর রাশেদ, সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহরিয়ার মোক্তার, সদর মডেল থানার ওসি মনিরুল গিয়াসসহ প্রশাসনের লোকজন।
আহতদের মধ্যে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক নুরুল করিম রাসেলের অবস্থা গুরুতর। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের সদরও হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে কারও পরিচয় জানা যায়নি।
জানা যায়, সি-ইন পয়েন্টে বিকালে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গেলে বাধা দেন ব্যবসায়ীরা। এক পর্যায়ে তারা অভিযানে অংশ
নেওয়া লোকজনের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে যমুনা টিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি নুরুল করিম রাসেলসহ অন্তত ১৫ জন সাধারণ মানুষ আহত হন।
এ সময় পুলিশ অ্যাকশনে গিয়ে বিক্ষোভ থামাতে ফাঁকা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বুলডোজার নিয়ে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে উচ্ছেদ অভিযানে গেলেও বিকাল ৫টা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। এ সময় অবৈধ দখলদারদের পক্ষে অনেককেই জেলা প্রশাসনের ওই দলকে বাধা দিতে দেখা যায়।
গত ১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে সুগন্ধা পয়েন্টের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানানো হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, সৈকতকে দখলমুক্ত করতে সব নিয়মনীতি মেনে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে ৭৫ শতাংশ জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।