যুক্তরাষ্ট্রে বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের টিকা পরীক্ষার তৃতীয় ধাপ শুরু করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। এ নিয়ে দেশটিতে তৃতীয় ধাপের টিকা পরীক্ষায় গেল চারটি প্রতিষ্ঠান। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এক ডোজ করে টিকা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৬০ হাজার মানুষকে দেবে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পল স্টোফেলস বলেন, বুধবার একজন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর টিকা দেওয়ার মাধ্যমে তৃতীয় ধাপের টিকা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। টিকাটি তৈরি করেছে জনসন অ্যান্ড জনসনের সহায়ক প্রতিষ্ঠান জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিজ।
যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসন ছাড়াও তৃতীয় ধাপের টিকা পরীক্ষা করছে মডার্না, ফাইজার ও বায়ো এন টেক এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
যেখানে অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি টিকার দুটি ডোজ প্রয়োজন পড়ে সেখানে জনসন অ্যান্ড জনসন একটি ডোজ টিকা নিয়ে গবেষণা করছে। এতে ফলাফল দ্রম্নত
\হপাওয়া যাবে বলে মনে করছেন গবেষক পল স্টোফেলস।
যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়ামে টিকাটির প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় এক ডোজ টিকাতেই প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে টিকাটিকে বড় আকারে পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট নিরাপদ বলে দাবি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাটির পরীক্ষা চালানো হবে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, পেরু ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর এটি নিরাপদ প্রমাণিত হলে তা শিশুদের ওপরেও প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রশ্ন হচ্ছে, টিকা কবে নাগাদ হাতের নাগালে পাওয়া যাবে? গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে কবে এ টিকাটি পাওয়া যাবে।
যদি সবকিছু ঠিকঠাকমতো চলে এবং টিকা নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়, তবে আগামী বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন পাবে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। বছরে ১০০ কোটি ডোজ টিকা তৈরির পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।