বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৩ হাসপাতালে করোনা সেবা বন্ধের নির্দেশ পাইপ লাইনে ৯টি

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

রোগী সংকট হওয়ায় কোভিড ডেডিকেটেড ১২টি হাসপাতালে করোনার সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ৩টি হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক আদেশে রাজধানীর বাবুবাজারের ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল এবং কুড়িলের বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতালকে নন-কোভিড ঘোষণা করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে এই তিনটি হাসপাতালকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডেডিকেটেড ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন প্রয়োজনে নন-কোভিড চিকিৎসা কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের কাছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি চিঠি পাঠায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা। চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত

রোগী ভর্তির প্রবণতা ক্রমান্বয়ে কমছে। এ কারণে প্রয়োজনীয় কিছু হাসপাতাল রেখে বাকিগুলোর কার্যক্রম দ্রম্নত বন্ধ করা প্রয়োজন। কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকার হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল, বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতালসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইটি, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল, চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ভাটিয়ারি ফিল্ড হাসপাতাল, চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টারসহ ৬টি এবং সিলেটের এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। এর মধ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, এসব হাসপাতালে রোগী না থাকায় যন্ত্রপাতি, সম্পদ ও জনবল অলস পড়ে থাকছে। বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতালের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দুই হাজারের বেশি শয্যার ওই হাসপাতালে রোগী নেই বললেই চলে। একদিন সেখানে ৩ জন রোগী ভর্তি ছিল। সেখানে ১৫০ জন চিকিৎসক, যন্ত্রপাতির খরচ, পানি-বিদু্যৎ-গ্যাস মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা বিল হচ্ছে। এ ধরনের হাসপাতালগুলো বন্ধের জন্য প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দেয় সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তারা।

তবে সরকারি যেসব হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে, সেখানেও পাশাপাশি সাধারণ রোগীদের ভর্তির জন্য বলা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ১৪ হাজার ২৭৫টি সাধারণ শয্যার ৩ হাজার ১১০টিতে করোনাভাইরাসের রোগী ভর্তি ছিল। খালি ছিল ১১ হাজার ১৬৫টি শয্যা। ৫৪৭টি আইসিইউ শয্যার ৩০১টিতে রোগী ভর্তির বিপরীতে খালি ছিল ২৪৬টি। এর মধ্যে ঢাকার ২১টি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের ৬ হাজার ১০৭টি শয্যার ১ হাজার ৮৯৪টিতে রোগী ছিল। শয্যা খালি পড়ে ছিল ৪ হাজার ২১৩টি। ৩০৭টি আইসিইউ শয্যার ১৯৫টিতে রোগী ভর্তি ছিল, খালি ছিল ১১২টি শয্যা। এছাড়া চট্টগ্রামের ৯টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের ৭৮২টি শয্যার ৬১২টিই খালি। রোগী ভর্তি হয়েছে ১৭০টি শয্যায়। ৩৯টি আইসিইউ শয্যার ১৮টিতে রোগী ভর্তির বিপরীতে খালি থেকেছে ২১টি শয্যা।

১৬ সেপ্টেম্বরের হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগর হাসপাতালের ৬৬টি সাধারণ শয্যার ১১টি, লালকুঠি হাসপাতালের ১২১ শয্যার ১টি এবং বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতালের ২০১৩টি শয্যার মধ্যে ৩০টিতে রোগী ভর্তি ছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<112431 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1