শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জনগণের অর্থ অপব্যয় নিয়ে সতর্ক করলেন পরিকল্পনামন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

সচিবদের ডেকে নিয়ে সভা করে সরকারি অর্থাৎ জনগণের অর্থ অপব্যয় নিয়ে সতর্ক করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেছেন, উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনগণ আমাদের ওপর নজর রাখছেন। মানুষ অনেক সচেতন। আমাদের গতিবিধি, আচার-আচরণ দেখছেন। জনগণের সম্পদ আমরা কীভাবে ব্যবহার করছি তা তারা গভীর নজরে রেখেছেন। তাই টাকার ব্যবহার, সময়োপযোগিতা ও পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ৩০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতেই তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।

সভায় উন্নয়ন

প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পণ্যের অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ, প্রশিক্ষণের নামে বিদেশ সফরসহ অযাচিত ব্যয় নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া গত অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা এবং চলতি অর্থবছরের অগ্রগতি বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

সভায় মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিকল্পনা কমিশনের যেসব কর্মকর্তা প্রকল্প যাচাই-বাছাই করেন, তাদের পর্যবেক্ষণ, কী কী ঘাটতি লক্ষ্য করেছেন সেসব তুলে ধরেন। অন্য মন্ত্রণালয়ের সচিবরা যারা প্রকল্প তৈরি করেন, বৈঠকে তাদের শিক্ষণীয় ব্যাপারগুলো তুলে ধরেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কোথায় কীভাবে আরও ভালো করা যায় তা আলোচনা করেছেন।

সভা শেষে দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের পরিহার করতে হবে। এটা অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন সময় তিনি শেয়ার করেছেন। তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি আমাদের কাছ থেকে সব শোনেন তা কিন্তু নয়। প্রধানমন্ত্রীর নিজের নজরেও সব আছে। আরেক বছর পর আবার এসে বললেন ব্যয় বাড়াতে হবে। এগুলো তিনি মনে করেন যে, শৃঙ্খলাবিরোধী। এটা আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।'

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'সরকারের অর্থ নয়, জনগণের অর্থ। জনগণের অর্থ যদি অপচয় হয় বা খরচ বেশি করি এটা গ্রহণযোগ্য নয়। করোনা হোক বা না হোক, কোনো সময়ই জনগণের অর্থ নিয়ে 'নয়-ছয়' হতে দেওয়া যাবে না, এটা নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। আমরা সবাই স্বীকার করি যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি আছে। কীভাবে এটাকে উৎরে আসা যায়, এ বিষয়ে আমরা সবাই মিলে একমত হয়েছি, আমরা যার যার অবস্থান থেকে এটা মোকাবিলা করব। এ বছর থেকে কাজ শুরু করলাম, নতুন প্রকল্পগুলোর জন্য আমরা অনেকটা স্ট্রিনজেন হব। পস্নানিং কমিশনে আমরা মোস্ট স্ট্রিনজেন হব। যারা প্রকল্প তৈরি করবে, তারা আগের তুলনায় অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করবেন। যাতে এ ধরনের কাজ আগামীতে যেন আর না হয়।'

তিনি বলেন, 'একজন লোকের কাছে চারটা, পাঁচটা, ছয়টা প্রকল্প। ১০টা প্রকল্পও পাওয়া গেছে। এটা আমাদের সার্কুলারবিরোধী, বিধানবিরোধী। তারপরও করে যাচ্ছি এটা। সুনামগঞ্জের প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক ঢাকায়। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা আগেও আলোচনা করেছি। আবার আলোচনা করছি। বারবার করে এটাকে আমরা শোধরাবার চেষ্টা করছি। শোধরানো দরকার। এ সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সবাই একমত। এসব বিষয় আর মেনে নেওয়া যাবে না। এগুলো শোধরানোর জন্য আমরা সবাই আবার একসঙ্গে কাজ করব।'

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়গুলো আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সচিবরা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব কী কী শাস্তির বিধান আছে, সেটা উলেস্নখ করেছেন। জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে তিনি আবার এটাকে তুলে ধরেছেন বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<108772 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1