বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা সচেতনতায় ফেরদৌসের আহ্বান

বিনোদন রিপোর্ট
  ২৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০
†di‡`Šm Avn‡g`

বিশ্ব আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। বিশ্বের বহুদেশ আজ এই করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত। প্রতিনিয়তই হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগীর খবর প্রকাশিত হয় গত ৮ মার্চ নারী দিবসে। এরপর থেকে একের পর একে দেশে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। সবাই যার যার অবস্থানে থেকে নিজেদের সচেতন রাখার পাশাপাশি পাশের জনকেও সচেতন করার চেষ্টা করছেন। অনেক তারকাও দেশের মানুষদের সচেতন করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় ফেরদৌসও এগিয়ে এলেন। দেশের করোনাভাইরাসের খবরে নিজেকে গেল ১৩ মার্চ থেকেই গৃহবন্দি করে রেখেছেন ফেরদৌস। মা, স্ত্রী, সন্তানকে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস'র বাসায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে পারিবারিকভাবেই সময় কাটাচ্ছেন। তবে প্রতি মুহূর্তে তিনি দেশবাসীর জন্য ভীষণ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় পার করছেন। দেশের সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ করে ফেরদৌস বলেন, 'সত্যি বলতে কী এই মুহূর্তে শুধু আমাদের দেশ নয়, সারা বিশ্ব এক বিশাল মহামারিতে আক্রান্ত। করোনাভাইরাসের মতো শক্তিশালী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। আর সেই যুদ্ধটা করতে হবে আমাদের নিজেদের ঘরের মধ্যে থেকেই। আমরা কেউ কোথাও যাব না খুব ইমার্জেন্সি কোনো কিছু দরকার না হলে। ঘরের মধ্যে থেকেই নিজের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হবে। পাশাপাশি অন্য পরিবারকেও নিরাপদের মধ্যে রাখতে হবে।' চলচ্চিত্রের এই নায়ক তরুণদের উদ্দেশে বলেন, 'আমি বিশেষত তরুণদের বলব, তারা ঘরের মধ্যে থাকতে চায় না। কারণ, তারা প্রায়শই বলে, ঘরের মধ্যে এতটা সময় কাটানো যায় নাকি? তাদের উদ্দেশে বলব, সত্যি বলতে কী একজন তরুণের কারণে যদি করোনাভাইরাস তার পরিবারের সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সেটা রোধ করা হয়ত আর কোনোভাবেই সম্ভব না। হয়ত সেই তরুণ ছেলেটি বা মেয়েটি কোনো না কোনোভাবেই সেই পরিস্থিতি থেকে সুস্থ হয়ে উঠল। তাই নিজের পরিবারের সবার কথা ভেবে তরুণদের ঘরের মধ্যে নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখাটাই আমি শ্রেয় মনে করি। এভাবে আমরা প্রত্যেকেই যদি নিজেদের অবস্থানে সচেতন হই তাহলেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধে জয়ী হতে পারব। যেখানে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো করোনার বিরুদ্ধে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিনিয়ত, সেখানে আমাদের জন্য এটা আরও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। বন্দি জীবন নিয়ে অভিনেতা ফেরদৌস বলেন 'অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেন ঘরে বসে কী করা যাবে। ঘরে বসে অনেক কিছুই করা যায়, সবচেয়ে বড় কথা আমরা যারা সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকি, তাদের এই মুহূর্তে পরিবার খুব কাছে পাবে। পিতা-মাতা সন্তানকে কাছে পাবে, দাদা-দাদি, নাতি-নাতনিদের কাছে পাবে। গল্পের বই পড়ার প্রচুর সুযোগ, ভালো ভালো সিনেমাও দেখা যেতে পারে। অনেকেই পেশাগত কাজের ফাঁকে ফাঁকে ফেসবুকে বুঁদ হয়ে থাকেন। এখন তো অনেক অবসর, এখন ফেসবুকে বুঁদ হয়ে থেকে বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে করোনাভাইরাসে, তা জেনে নিজেকে আরও সচেতন করা যেতে পারে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে