অস্কারজয়ী সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক এআর রহমান ও সায়রা বানু ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন। সংসার জীবনের গতি থমকে দাঁড়ালেও তারা এখন ভিন্ন পথে হাঁটছেন। জীবনের তাল কেটে গেল এ অস্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পীর। এআর রহমানের বাধা সুর অসংখ্য বেসুরো মানুষের সুর এনে দিয়েছে, ঐকতান এনে দিয়েছে। কিন্তু নিজের জীবনেই সেই সুর বাঁধতে পারল না। জীবন-সংসারের গতি থমকে দাঁড়িয়েছে তাদের জীবনে। ইতোমধ্যে এ দম্পতির বিচ্ছেদের খবর জেনে গেছেন ভক্ত-অনুরাগীরাও। কী কারণে বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন এ দম্পতি, সে কথা আমাদের সবার জানা। এক সাক্ষাৎকারে অবসাদ আমাদের ঘিরে থাকে, যৌনতার মতো শারীরিক প্রয়োজন মেটানোই সব নয় বলেও জানিয়েছেন এ সুরকার।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন অস্কারজয়ী সুরকার এআর রহমান ও সায়রা বানু। শিল্পীর স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবীর মাধ্যমে বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আনেন। দাম্পত্যে তিক্ততার জন্যই নাকি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। কিসের জন্য এই তিক্ততা, কিসের জন্য এই অবসাদ তা বাইরের দুনিয়ার অজানা। এর জের ধরে আরও বিস্তর আলোচনা চলবে নেটপাড়ায়। দুনিয়ার সেরা সুরকার এআর রহমান। কী করে এতদিন ভেতরে ভেতরে দগ্ধ হচ্ছিলেন তা প্রকাশ হলো অনেক পরে। তাও এআর রহমানের বরাত দিয়ে নয়, সায়রা বানুর আইনজীবীর মারফতে। যেহেতু আইনজীবীর মারফতে প্রকাশ এ খবর তাই অনেক অজানা অধ্যায় হয়তো অজানা থাকবে, যা এ সুরকারের অগণিত ভক্তকুলকেও পোড়াবে।
কেননা এখনই এ খবর হাওয়ার বেগে ছড়াতেই বাকরুদ্ধ গোটা দেশ। বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়ায় বিস্তর আলোচনা। এবার মানসিক স্বাস্থ্যে সুরের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেন এআর রহমান।
সঙ্গীতের মূর্ছনায় সারতে পারে বহু ক্ষত। মনের মধ্যে বাস করা অসুরও বদলে যায় সঙ্গীতের সুরে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করেন এআর রহমান। সঙ্গীত বেশকিছু ক্ষেত্রে ওষুধের কাজ করতে পারে। এ সুরকার বলেন, আমাদের অনেকেরই আজকাল মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। অবসাদ গ্রাস করে প্রায়শই। আমাদের সবার মধ্যেই শূন্যতা কাজ করে। কখনো গল্প শুনে, কখনো দর্শন পড়ে, আবার কখনো ওষুধ খেয়ে এই শূন্যতা দূর করা যায়। হিংসা বা যৌনতার মতো শারীরিক প্রয়োজনীয়তা মেটানো কখনোই সব নয়। জীবনের পরিধি এর থেকেও অনেক বড়। কিন্তু সঙ্গীত মনে শান্তি জোগাতে সক্ষম।
এআর রহমান এর আগেও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছিলেন। একটা সময় নাকি আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল তার। শিল্পীর পাশে ছিলেন তার প্রয়াত মা। তার সঙ্গে কথা বলেই কোনো রকমে এ ধরনের চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন, পুরনো এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন রহমান।
সেই সাক্ষাৎকারে এআর রহমান বলেছিলেন- অন্যের জন্য বাঁচলে, আত্মহত্যার মতো ভাবনা মাথায় আসে না। আমার মায়ের থেকে পাওয়া সেরা পরামর্শ এটিই। অন্যের জন্য বাঁচার অর্থ, আপনি স্বার্থপর নন। তার মানে, জীবনেরও অর্থ রয়েছে। এই পরামর্শকে আমি খুবই গুরুত্ব দিয়েছিলাম।