ছোট পর্দার অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। দেড় দশক ধরে অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে বর্তমান সময়টা দারুণ উপভোগ করছেন এ অভিনেত্রী। এখনো নিয়মিত টিভি নাটকে অভিনয় করে চলেছেন। নাটকের বাইরে তার ক্যারিয়ারে যেমন জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন আছে, তেমনি শর্টফিল্মও রয়েছে। কাজ করেছেন দেশের ছোট-বড় অনেক তারকার সঙ্গে। নাটকের পাশাপাশি দুই বাংলার চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন তিনি। তার অভিনীত দেশি সিনেমাগুলো হলো 'ড্রেসিং টেবিল', 'আইসক্রিম' ও 'রেডরাম'। এ ছাড়াও কলকাতায় কাজ করেছেন 'সুনেত্রা সুন্দরম' নামের একটি সিনেমায়। নিজের কো-আর্টিস্ট বিষয়ে নাদিয়া বলেন, আমার মায়ের অনুপ্রেরণায় মিডিয়ায় পথচলা শুরু। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনো শত্রম্ন নেই, নাটকের হিরো হিসেবে মনির খান শিমুল ভাইকে বেশি ভালো লাগত। এখন তো সে মেইনস্ট্রিম নাটকে কাজ করছে না। এরপর মোশাররফ ভাইকে ভালো লাগে। অভিনয়ের পাশাপাশি পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নাদিয়া। অভিনয়ের বাইরে যতটা সময় পান, সেখানেই দেন।
চলতি বছরের জুন মাসে নাদিয়া বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সালমান আরাফাতের সঙ্গে। বিয়ে যেন তার জীবনে উপহার দিয়েছে সবুজ পাতার সতেজতা। এ ছাড়া 'একটি খোলা জানালা' স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিও মন ভালো থাকার আরেকটি কারণ। সদ্য ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে এটি। এতে অভিনেত্রীর ছকভাঙা অভিনয় প্রশংসিত হয়েছেন দর্শক মহলে। স্বল্পদৈর্ঘ্য এই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সালহা বলেন, 'মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। অনেকে মনে করছেন, আরেকটু ভালো হতে পারত। আবার কেউ কেউ বলছেন, এভাবে শেষ হয়ে গেল কেন! তবে আমার আর তাসনিয়া ফারিণের অভিনয় সবাই পছন্দ করেছেন।'
এ ধরনের গল্পে এবারই প্রথম অভিনয় করলেন? এর জবাবে সালহা বলেন, 'হঁ্যা। সব অভিনয়শিল্পীই চায় একটু চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে। আমিও সব সময় তাই চেয়ে আসছি। আগেও এমন থ্রিলারধর্মী কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। গল্পও পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু সেটা ছিল একটু বেশি নেগেটিভ। আমি আসলে আমার দর্শককে সবসময় পজিটিভ মেসেজ দিতে চাই। সেজন্য সেটাকে না করে দিয়েছি।'
বিয়ে পরবর্তী সময় নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, হানিমুনে যাওয়ার দু'দিন পর চলে আসছি। আলহামদুলিলস্নাহ, আরও বরকত বেড়ে গেছে। দু'জন একসঙ্গে কাজ করছি। তিনি বলেন, নাটকের চরিত্রের প্রয়োজনে অনেকবার বিয়ে করতে হয়েছে। বাসায় বিয়ের কাতানের শাড়ি ৩০টার মতো আছে। নতুন জীবন। নতুন অভিজ্ঞতা। অবশ্যই ভালো চলছে সবকিছু। বিয়ের দুই মাস পর আমরা একটা বাসা নিয়েছি। এখন সেখানে বসেই কথা বলছি। যদিও গোছানো শেষ হয়নি। আমার বর সালমান আরাফাতও মডেল-অভিনেতা। দুজনের কস্টিউমের পাহাড় জমে আছে ঘরের মধ্যে। স্বামী-স্ত্রী মিলেই সংসার সাজিয়ে নিচ্ছি। হেল্পফুল জীবনসঙ্গী পেয়েছি। মনটাও অনেক পরিষ্কার।