প্রথমবার রিয়াদের মঞ্চে জেমস

সৌদির মিনিস্ট্রি অব মিডিয়ার আমন্ত্রণে এবারের রিয়াদ সিজনে অংশ নিচ্ছে ৯টি দেশ। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। ১২ অক্টোবর শুরু হওয়া ৪৫ দিনের এ আয়োজন শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এ উৎসবের লক্ষ্য সৌদি আরব ও অংশগ্রহণকারী এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
নগর বাউল নিয়ে দেশ-বিদেশে ছুটে বেড়াচ্ছেন জেমস। গত সেপ্টেম্বরে গিয়েছিলেন লন্ডনে। সেখানে একাধিক কনসার্টে পারফর্ম করেছেন। এরপর অক্টোবরের শেষের দিকে যান অস্ট্রেলিয়ায়। চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সিডনি, মেলবোর্ন ও অ্যাডিলেডে কয়েকটি কনসার্ট করেছেন। ফিরেই ব্যস্ত হয়েছেন দেশের মঞ্চে। ১৫ নভেম্বর সেনা প্রাঙ্গণে গেয়েছেন 'ঢাকা রেট্রো' কনসার্টে। এবার জেমস জানালেন নতুন খবর। সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে রিয়াদে যাচ্ছেন জেমস। ২২ নভেম্বর রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্কে গান শোনাবে নগর বাউল। আয়োজনটির নাম রাখা হয়েছে 'বাংলাদেশ কালচার', এটি সৌদি সরকারের আয়োজন রিয়াদ সিজনের অংশ। রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে সৌদি সমাজকে বের করে আনতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ভিশন-২০৩০ পরিকল্পনার আওতায় ২০১৮ সালে বিনোদনজগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, খুলে দেওয়া হয় সৌদির সিনেমা হলগুলো। আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শুরু করে কনসার্ট, ফ্যাশন শো ইত্যাদির। এরই ধারাবাহিকতায় আরেকটি উদ্যোগ 'রিয়াদ সিজন'। সৌদির মিনিস্ট্রি অব মিডিয়ার আমন্ত্রণে এবারের রিয়াদ সিজনে অংশ নিচ্ছে ৯টি দেশ। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। ১২ অক্টোবর শুরু হওয়া ৪৫ দিনের এ আয়োজন শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এ উৎসবের লক্ষ্য সৌদি আরব ও অংশগ্রহণকারী এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়। উৎসবটি শীতকালীন বিনোদনের অন্যতম আয়োজন হিসেবে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার। আমন্ত্রিত প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক সপ্তাহ। সেখানে এসব দেশের সঙ্গীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী খাবার তুলে ধরা হচ্ছে। আয়োজনের সপ্তম সপ্তাহকে 'বাংলাদেশ উইক' হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। নগর বাউল ব্যান্ডের ব্যবস্থাপক রুবাইয়াৎ ঠাকুর বলেন, '২০ নভেম্বর সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে আমরা প্রথমবারের মতো রিয়াদে যাচ্ছি। আয়োজনটিতে বিনামূল্যে গান শুনতে পাবেন দর্শক। আশা করি, ভালো একটা শো হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।' জেমসের পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নগর বাউল জেমস নামেই পরিচিতি। ১৯৮০ সালে জেমস প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড 'ফিলিংস'। সাত বছর পর এই ব্যান্ডের হয়ে প্রথম অ্যালবাম 'স্টেশন রোড' প্রকাশ করেন। পরের বছর 'অনন্যা' শীর্ষক একটি একক অ্যালবাম নিয়ে আসেন তিনি, যা তাকে সঙ্গীত ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত করে। এরপর ১৯৯০ সালে 'জেল থেকে বলছি', ১৯৯৬ 'নগর বাউল', ১৯৯৮ সালে 'লেইস ফিতা লেইস', ১৯৯৯ সালে 'কালেকশন অব ফিলিংস' অ্যালবামগুলো প্রকাশ পায়। এরপর 'ফিলিংস' ভেঙে জেমস গড়ে তোলেন নতুন লাইনআপে ব্যান্ড 'নগর বাউল'। এই নামে প্রকাশিত হয় 'দুষ্টু ছেলের দল' এবং 'বিজলি' নামের দুইটি অ্যালবাম। জেমসের গাওয়া একক অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে- অনন্যা (১৯৮৮), পালাবি কোথায় (১৯৯৫), দুখিনী দুঃখ করো না (১৯৯৭), ঠিক আছে বন্ধু (১৯৯৯), আমি তোমাদেরই লোক (২০০৩), জনতা এক্সপ্রেস (২০০৫), তুফান (২০০৬), কাল যমুনা (২০০৯)। ২০০৫ সালে বলিউডে গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রে পেস্নব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া 'ভিগি ভিগি' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এক মাসেরও বেশি সময় গানটি বলিউড টপচার্টের শীর্ষে ছিল। ২০০৬ সালে আবারও বলিউডের ছবিতে কণ্ঠ দেন। ২০০৭ সালে তিনি 'লাইফ ইন এ মেট্রো' চলচ্চিত্রে পেস্নব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুটি হলো রিশতে এবং আলবিদা। \হজেমসের গাওয়া সেরা ১০ গানের মধ্যে বাংলাদেশ, জেল থেকে আমি বলছি, মা, দুখিনী দুঃখ করো না, লেইস ফিতা লেইস, বাবা কত দিন, বিজলী, দুষ্টু ছেলের দল, মিরাবাঈ, পাগলা হাওয়া, গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়া উলেস্নখযোগ্য।