প্রকাশ পাচ্ছে আবুল হায়াতের আত্মজীবনী
প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক আবুল হায়াত। ১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা। নাম দিয়েছেন 'রবি পথ'। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তার আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
'রবি পথ-কর্মময় ৮০' শীর্ষক এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে টেলিভিশন অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।
আবুল হায়াতের আত্মজীবনী রবি পথের প্রচ্ছদ এঁকেছেন তার বড় মেয়ে অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত। প্রকাশ হচ্ছে সুবর্ণ প্রকাশনী থেকে, এটি আবুল হায়াতের ছোট মেয়ে নাতাশার বান্ধবীর প্রকাশনা সংস্থা।
১৯৬৯ সালে 'ইডিপাস' নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো টিভি স্ক্রিনে তার অভিনয়ের অভিষেক ঘটে। তারপর থেকে টিভি নাটকে, সিনেমায় আর বিজ্ঞাপনে সফলতার সঙ্গে অভিনয় করে আসছেন। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ রচিত অনেক নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। 'মিসির আলি' চরিত্রে অভিনয়টি তার বিশেষ কাজ। এর বাইরে 'আজ রবিবার', 'বহুব্রিহী', 'অয়োময়' ধারাবাহিকগুলোতে আবুল হায়াত ছিলেন অনবদ্য। তার অসংখ্য খন্ড নাটকও মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
পরিচালনায়ও সফল নাম আবুল হায়াত। বেশ কিছু খন্ড নাটক নির্মাণ করে তিনি প্রশংসা পেয়েছেন। তার পরিচালনায় 'জোছনার ফুল' নাটকটি বিটিভিতে দর্শকপ্রিয় ছিল। সেখানে অভিনয়ও করেছেন তিনি।
একজন মঞ্চ অভিনেতা হিসেবেও আবুল হায়াত কিংবদন্তি। তার বেশ কিছু নাটক নতুনদের সৃষ্টিশীল অভিনয়ে উৎসাহ দেয়। তার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য, আসাদুজ্জামান নূরের চিত্রনাট্য ও নির্দেশনায় বিদেশি নাটক অবলম্বনে 'দেওয়ান গাজীর কিসসা' নাটকটি। ১৯৭৮ সালে নাটকটিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন আবুল হায়াত।
আবুল হায়াত সাহিত্যিক হিসেবেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার লেখা প্রথম উপন্যাসটি বের হয় ১৯৯১ সালের বইমেলায়। উপন্যাসটির নাম ছিল 'আপস্নুত মরু'। এরই ধারাবাহিকতায় একে একে বের হয় 'নির্ঝর সন্নিকট', 'এসো নীপ বনে' (তিন খন্ড), 'অচেনা তারা', 'জীবন খাতার ফুট নোট', (দুই খন্ড) ও 'জিম্মি'।
নন্দিত এই অভিনেতা কিন্তু জন্মসূত্রে পশ্চিমবঙ্গের। ১৯৪৪ সালে সেখানকার মুর্শিদাবাদে তার জন্ম। তবে বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট ও রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই ম্যাট্রিক পাস। অতঃপর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করে ঢাকায় পাড়ি জমান আবুল হায়াত। ভর্তি হন দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ বুয়েটে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর স্নাতক সম্পন্ন করেন ১৯৬৭ সালে।