তিনি ঠোঁটকাটা, রগচটা কিংবা ভয়হীন বলিউড 'কুইন'! সব সময় স্পষ্ট বয়ানে অন্যদের ঘোল খাইয়ে (তুমুল সমালোচনা) মাথা উঁচু করে রাখা তারকা। সেই কঙ্গনাই কি না নিজের পরিচালিত প্রথম ছবি 'ইমারজেন্সি'র ছাড়পত্র নিতে রীতিমতো ঘোল খেলেন!
ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃতির অভিযোগে ভারতের চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড হয়ে আদালত সমুদ্রে, এক টুকরো খড়কুটোও যেন তার পাশে ছিল না; যেটা তিনি আঁকড়ে ধরতে পারেন। শুরুর দিকে বিষয়টি নিয়ে কঙ্গনা স্বভাবসুলভ বাঘিনীরূপে হুংকার দিলেও, শেষের দিকে নিজেকে নতজানু করে ফেলেছেন।
আশার কথা, অবশেষে স্বস্তিতে ফিরেছেন নির্মাতা-অভিনেতা-প্রযোজক কঙ্গনা। ১৭ অক্টোবর তার হাতে এসেছে ছবিটি মুক্তির ছাড়পত্র।
১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ভারতে জারি হওয়া ২১ মাসের জরুরি অবস্থা নিয়ে এই সিনেমা। যেটা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সময়। ছবিটির গল্পে ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃত করার পাশাপাশি কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগ তুলেছে ভারতের একাধিক সম্প্রদায়। মূলত এই বিতর্কের কারণেই সিনেমাটি মুক্তির সার্টিফিকেট দেয়নি সেন্সর বোর্ড ও মুম্বাই হাইকোর্ট।
ছবিটিতে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। সঙ্গে পরিচালক হিসেবেও অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন এই সিনেমার মাধ্যমে।
কঙ্গনা ছাড়াও 'ইমারজেন্সি'তে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়াস তালপাড়ে, বিশাক নায়ার এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিকদের মতো পরিচিত মুখ।
শিগগিরই ছবিটির মুক্তির দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন কঙ্গনা। ছাড়পত্র পাওয়ার বার্তায় কঙ্গনা বলেছেন, 'ধামরা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছি। শিগগিরই ছবিটি মুক্তির তারিখ ঘোষণা করব। ধৈর্য এবং সমর্থনের জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করতে খানিক সময় লাগবে, সেটি স্বাভাবিক। তবে ঠিক কতটুকু কাটছাঁট কিংবা শর্তপূরণের পর ছাড়পত্র পেলেন নির্মাতা কঙ্গনা, সেটিও মুখফুটে বলেননি বলিউডের এই বাঘিনী।
বেশ কয়েকটি ভারতীয় প্রতিবেদন অনুসারে 'ইমার্জেন্সি' সিনেমাটিকে ৮ জুলাই বোর্ডের কাছে পর্যালোচনার জন্য জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে ছবির ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ায় এটি নির্ধারিত দিন ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি থেকে পিছিয়ে যায়।
১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ভারতে জারি হওয়া ২১ মাসের জরুরি অবস্থা নিয়ে এই সিনেমা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রনৌত। ছবিটির পরিচালনা-প্রযোজনার পাশাপাশি চিত্রনাট্যকারও তিনিই।