পঞ্চাশেও অনন্য রূপবতী কাজল

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
কাজল মুখার্জী
৫০ বছরে পা রেখেছেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল মুখার্জী। ১৯৭৪ সালের ৫ আগস্ট জন্মেছিলেন মুম্বাইয়ের বাঙালি-মারাঠি মুখার্জী-সমর্থ পরিবারে। চুলবুলি স্বভাবের এই নায়িকার অনুরাগী সংখ্যা নেহাত কম নয়। কাজলের সম্পূর্ণ পরিবারই সিনেমাজগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নানি ও মা উভয়েই এককালের বলিউডে জনপ্রিয় নায়িকা ছিলেন। একমাত্র ছোটবোন তানিশা অবশস নায়িকা হিসেবে সুনাম করতে পারেনি। অন্যদিকে ছিলেন কাজলের কাজিন বোন রানী মুখার্জী। মা তনুজা সেই সময়ের ডাকসাইটের নায়িকা। আর বাবা সোমু মুখোপাধ্যায় পরিচালক-প্রযোজক। ১৯৯২ সালে বেখুদি দিয়ে কাজল ক্যারিয়ার শুরু করলেও, জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল শাহরুখ খানের সঙ্গে জুটি। ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন কাজল-অজয় দেবগন। এখন তার নাম কাজল দেবগন, তবে এককালে তিনি কাজল মুখার্জীই ছিলেন বটে। নিশা ও যুগ নামে দুই সন্তান আছে এই বলিউড দম্পতির। বলিউডের সর্বকালের সেরা নায়িকাদের অন্যতম কাজল। লাখোকোটি দর্শকের হৃদয় ভোলানো এই মেয়েটি রুপালিজগৎ থেকে অনেকটা দূরে থাকার পরও এখন পর্যন্ত দর্শকের কাছে সমান জনপ্রিয়। কাজলের ছোটবেলার খুব বেশি ছবি দেখতে পাওয়া যায় না অন্য নায়িকাদের মতো। বরং তার ছোটবেলার ছবি রীতিমতো বিরলই বলতে হবে। তবে বিয়ের পর সিনেমা থেকে সরে যান কাজল। ২০১০ সালে কাজল সর্বশেষ 'তারপুর কি সুপার হিরো'তে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি মুক্তির পরপরই তিনি মাতৃত্বকালীন অবসরে যান। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি পুত্রসন্তানের মা হন। এরপর কয়েকটি সিনেমায় কাজলের ঝলক মিললেও ফুলটাইম অভিনেত্রীর পেশায় তাকে আর দেখা যায়নি। অসংখ্যবার গুজব শোনা গেলেও বাস্তবে ঘটেনি কিছুই। স্বতঃস্ফূর্ত, সাহসী, পর্দায়-সাবলীল কাজল মা হিসেবেও তেমনি উপযুক্ত। আবার সিনেমায় যখন তিনি নায়িকা হয়ে আসেন, তার চোখের ধূসর মণি, শ্যামবর্ণা, জোড়া ভ্রম্ন- এরকম চোখ-ধাঁধানো রূপেই মজেছিল নব্বইয়ের দশক। ১৯৯৮ সালে 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' সিনেমাতে যে কাজলকে দেখেছিলেন দর্শক, ২৫ বছর পরও ত্বকের সেই জেলস্না ধরে রেখেছেন। গত কয়েক দশকে যেভাবে সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন, এখনো সেই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন কী করে? জেনে নেওয়া যাক, কাজলের প্রতিদিনের রূপ-রুটিন কেমন। ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং হলো কাজলের রূপচর্চার প্রাথমিক ধাপ। প্রতিটি ধাপ সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে করেন তিনি। ব্যস্ততা থাকলেও ত্বকের যত্ন নিতে ভোলেন না। তিনি বিশ্বাস করেন, এতে ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখা যায়। সূর্যের আলো থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখাটাই আসল যত্ন। ত্বক এতে ভেতর থেকে ভালো থাকে। কাজল সানস্ক্রিন না মেখে বাড়ি থেকে বের হন না। মেকআপ করার আগে প্রথমে সানস্ক্রিন মেখে নেন। তারপর অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করেন। সিরাম ত্বকে পুষ্টি জোগায়। বয়সের ছাপ দূরে রাখে। ত্বকের লাবণ্য বজায় রাখতেও সিরাম উপকারী। রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সিরাম মাখেন নায়িকা। এসব অভ্যাসেই তিনি এখনো দর্শককে মুগ্ধ রেখেছেন।