একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাট্যজন, নির্দেশক ও অভিনেতা জামালউদ্দিন হোসেন (৮১) কানাডার স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশটির রকিভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিলস্নাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, দুই সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ছেলে তাশফিন হোসেন তার বাবার মৃতু্যর সংবাদটিগণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা থেকে বাবা জামাল উদ্দিন হোসেন কানাডার ক্যালগিরিতে তার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। এর মধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার বাবা হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান, তার বাবার ইউরিন ইনফেকশন হয়েছে। পরে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছিলেন না। এরপরই চিকিৎসকরা তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এতদিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। কানাডার স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে লাইফ সাপোর্ট খুলে দিলে তার হার্টবিট আনস্টাবল হয়ে পড়ে। পরে ক্যালগেরির রকিভিউ হাসপাতালে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ইন্তেকাল করেন।
এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোক করেছিলেন। এ ছাড়া কোভিডের সময় তার প্রোস্টেট ক্যানসার হয়েছিল।
উলেস্নখ্য, টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকের একসময়ের ব্যস্ত অভিনয়শিল্পী জামাল উদ্দিন হোসেন সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে মঞ্চ নাটকে অভিনয় শুরু করেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের এই সদস্য পরে টেলিভিশন নাটক এবং চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। গেল ১৫ বছর ধরে অভিনয়ে অনিয়মিত ছিলেন তিনি। এই সময়টায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন। জামালউদ্দিন হোসেনের ছেলে তাশফিন হোসেন কানাডার মাউন্ট রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে মঞ্চ নাটকে অভিনয় শুরু করেন জামালউদ্দিন হোসেন।
তার মৃতু্যতে কানাডার বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন। তার ছেলে তাশফিন হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার ক্যালগেরির স্থানীয় সময় বাদ জোহর আকরাম জুম্মা মসজিদে বাবা জামালউদ্দিন হোসেনের জানাজার নামাজ শেষে তার লাশ কক্রেন কবরস্থানে দাফন করা হয়।