বছর ঘুরে আবারও চলে এসেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসব ঘিরে ওপার বাংলার তারকারা যেন ব্যাপক উচ্ছ্বসিত। দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর উদযাপন নিয়ে রয়েছে নানান পরিকল্পনা। এবার পূজা নিজ শহর কলকাতায় কীভাবে কাটাবেন, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন সম্প্রতি।
তবে পূজা উদযাপন ঘিরে যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি শুরুতে কৃতজ্ঞতা জানান দুষ্টু কোকিলখ্যাত এই অভিনেত্রী। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে মিমি জানান, 'আমরা যারা তিনবেলা খেতে পাই তাদের বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন মানুষ মনে করি। যারা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন, পূজায় বাবা একখানা শাড়ি উপহার দেবেন, তাদের কথা ভিন্ন। যারা মন্ডপে বাঁশ বাঁধছেন, যারা রোল, ফুচকার স্টল দিচ্ছেন, ঢাকিরা এই উৎসবের অপেক্ষায় থাকেন। আমরা যেমন ফেসবুকে বসে বসে কমেন্ট করি, ওরা কিন্তু সেই সময়টুকু পান না। তারা সর্বক্ষণ এই চিন্তায় থাকেন, কীভাবে দুটো পয়সা রোজগার করবেন।'
ইদানীং পূজা উদযাপনে কিছু মানুষের আচারণেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মিমি। অভিনেত্রীর অভিযোগ রাস্তায় জোরে বাইক চালানো কিছু যুবকদের নিয়ে। যারা যেকোনো উদযাপনে মেয়েদের দেখিয়ে জোরে বাইক চালান। মিমি বললেন, 'বর্তমান সময়ে ঔদ্ধত্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রাস্তায় লোকজনদের উপর ঔদ্ধত্য দেখিয়ে বান্ধবী পটাতে চায় লোকজন। পূজায় পৌরুষের বহর যেন আরও বেড়ে যায়! সাঁ করে জোরে বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যায়! এই পুরুষই প্রেম করে বিয়ের পরে অত্যাচারী হয়ে ওঠে।' মূলত পূজার সময়টা নিজ বাড়িতেই কাটান মিমি। সময়টা কীভাবে কাটাচ্ছেন, তা নিয়েও আলোচনা করলেন মিমি।
মিমি বললেন, 'প্রতিবছরের মতো এই বছরও কসবার বাড়িতেই থাকব। এই পূজা আমরাই প্রথম শুরু করেছিলাম। লাল-হলুদ রঙের মন্ডপ তৈরি হয়েছে। মা-পাপাও এই পূজার সঙ্গে যুক্ত। উদ্বোধনী সঙ্গীত থেকে শুরু করে তারা পূজার বিভিন্ন বিষয়ে যুক্ত থাকেন প্রতিবছর। প্রাথমিকভাবে পূজায় বাইরে যাওয়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করলাম।'
তবে এবার পূজায় বিশেষ কেউ থাকছেন না মিমির সঙ্গে। কারণ সিঙ্গেল লাইফ খুব বেশি উপভোগ করতে পারেন মিমি। তাকে সঙ্গ দেয় প্রাণপ্রিয় পোষ্যরাও। কাজেই তাকে কোনোরকম একাকিত্ব গ্রাস করে না, শুধু ঘুমিয়েই আনন্দে কাটাতে চান মিমি- এমনটিই জানালেন।
মিমি বললেন, 'আমার মনে হয় যদি কেউ একবার একা থাকা শিখে যায়, তাহলে তার থেকে শক্তিশালী মহিলা আর কেউ নেই। নিজের মতো করে জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমার শোয়ার ঘর আর পোষ্য সারমেয় ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও থাকতে চাই না আমি। ওদের মুখ দেখে ঘুমোতে যাই, ওদের মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠি। এর বাইরে কিচ্ছু চাই না আমি। এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় না আমার একটা বিয়ে হোক, সংসার করব। আমি নিজেই পরিপূর্ণ।
স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে
বাঁচতে হবে।'