বলিউড অভিনেতা শক্তি কাপুরের কন্যা অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরকে নাকি বলিউড তারকা বলে মনেই হয় না। আর সেটিই নাকি তার বিশেষত্ব। একেবারে সাধারণ, পাশের বাড়ির মেয়ের মতো ভাবভঙ্গি। একেবারেই সাদামাটা। সে কারণেই তাকে পছন্দ করেন ভক্ত-অনুরাগীরা। কিন্তু নেটিজেনরা বলছেন ভিন্ন কথা।
বলিউড অভিনেত্রীদের থেকে একেবারেই আলাদা শ্রদ্ধা কাপুর। খুব বেশি ছবিতে দেখা যায়নি তাকে। তবু তার ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। শুধু কম নয় বললেই ভুল হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রদ্ধা কাপুরের ভক্ত-অনুসারীর সংখ্যা অন্য বলি তারকাদের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে।
গত মাসে মুক্তি পেয়েছে ছবি 'স্ত্রী ২'। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি পেরিয়ে গেছেন এক মাইলফলক। অনুসরণকারীর সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে নিজের জায়গা পাকা করেছেন শ্রদ্ধা কাপুর। আর পেছনে ফেলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও।
শক্তিকন্যা শ্রদ্ধাকে অনেকেই বলছেন, এই জনপ্রিয়তা আসলে তার ভণিতার ফসল। 'ভালো মেয়ে'র মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকেন একজন 'দুর্বল অভিনেত্রী'। নেটিজেনরা বলছেন, তোমার অভিনয় দক্ষতা এমন কিছু ভালো নয়; কিন্তু তার জনপ্রিয়তা যেন খানদের থেকেও বেশি। কী করে হতে পারে এমন?
এমন মতের পেছনেও রয়েছে সফল ছবি 'স্ত্রী ২'। এ ছবিতে শ্রদ্ধার চরিত্রের প্রায় কিছুই করার ছিল না বলে নেটিজেনদের দাবি। অথচ সেই ছবির সব সুফল পাচ্ছেন তিনিই। এর আগে গত বছর রণবীর কাপুরের সঙ্গে শ্রদ্ধা অভিনয় করেছিলেন 'তু ঝুটি ম্যায় মক্কা' ছবিতে। কিন্তু ছবিটি ভালো ব্যবসা করেনি বক্স অফিসে। প্রতি বছর ছবি করেন না শ্রদ্ধা। তবু তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে না। নেটিজেনদের দাবি- এটি তার গুণ নয়; বরং জনসংযোগের ক্ষমতা।
এ বিষয়ে শ্রদ্ধার সহ-অভিনেতা অপারশক্তি খুরানাকে একটি সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি উত্তর দিতে অস্বীকার করেন তিনি। অপারশক্তি ইঙ্গিত করেছিলেন জনসংযোগের দিকে। তিনি বলেন, রাস্তায় নেমে যদি দর্শকদের জিজ্ঞাসা করা যায় তাহলেও কি একই রকম সাড়া পাওয়া যাবে? খুরানা বলেন, আমি জানতে চাই। আমার মনে হয় এটা জনসংযোগের খেল। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
একই মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক নেটিজেন লিখেছেন, আমার তো শ্রদ্ধাকে খুবই আড়ষ্ট মনে হয়। পাশের বাড়ির মেয়ে'র সাজে লুকিয়ে থাকেন এক খারাপ অভিনেত্রী। আরেক নেটিজেন একধাপ এগিয়ে লিখেছেন, খুব চেষ্টা করেন সাধারণ মেয়ে সেজে থাকার। তার পর নিজের জনসংযোগ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন আসলে তিনি খানদের থেকেও জনপ্রিয়। আমার তো মনে হয় ওর সব ভক্তই আসলে ওর জনসংযোগ কর্মী। একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ভাষায় মন্তব্য করা হয়।