তোপের মুখে শিল্পকলা একাডেমি ছাড়লেন জ্যোতিকা জ্যোতি

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন রিপোট
গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানের পর আজ নিজ কর্মস্থলে গেলে সহকর্মীদের তোপের মুখে শিল্পকলা একাডেমি ছাড়তে বাধ্য হন এই অভিনেত্রী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর আইরিন পারভীন লোপা জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা পর অফিসে প্রবেশ করেন জ্যোতি। জ্যোতি শিল্পকলা একাডেমিতে যাওয়ার পরই বাইরে বিভিন্ন বিভাগের সহকর্মীদের জড়ো হতে দেখে অফিস রুমের দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। আইরিন পারভীন লোপা গণমাধ্যমকে বলেন, 'তিনি (জ্যোতিকা জ্যোতি) অফিসে আসায় আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি কীভাবে অফিসে আসেন, যিনি স্বৈরাচার সরকারের হয়ে কথা বলেছেন। যারা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে উৎসাহিত করেছেন, যারা রক্ত ঝরার জন্য দায়ী, তাদের আমরা সহকর্মী হিসেবে চাই না।' বহুল আলোচিত 'আলো আসবেই' গ্রম্নপের সদস্য ছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। এ তথ্য উলেস্নখ করে আইরিন পারভীন বলেন, 'আমরা তাকে অফিস থেকে চলে যেতে বলেছি। কারণ তিনি 'আলো আসবেই' নামে একটি গ্রম্নপে যুক্ত হয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। এমন লোক আমরা দেখতে চাই না।' দুপুর দেড়টার দিকে শিল্পকলা একাডেমি ছেড়ে চলে যান অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। এদিকে ফেসবুক লাইভে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি বলেন, আমাকে চলমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে অফিস যেতে না করা হয়েছিল আমি বাসাতেই ছিলাম। অবশেষে ভাবলাম আমার যেহেতু চাকরি রয়েছে আমি কেন যাব না। আমাদের সচিব স্যারের পরামর্শ ছিল না যাওয়ার। তিনি বলেন, তবে আমি আজ অফিসে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বাইরে আমাদের সহকর্মীদের কিছু মানুষকে উত্তেজিত দেখেছি। আমাদের আরেকজন পরিচালক আছেন, তিনি আমাকে বিষয়টি বলেন। আমাদের মহাপরিচালক মিটিংয়ে ছিলেন। তার সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত নিতাম আমি। তিনি আসার পর আমি দেখা করতে গেলে তিনি পরিস্থিতি দেখিয়ে বলেন, এই অবস্থায় কেন আসছেন আপনারা? এগুলো আমাকে সামলাতে দেন। তারপর যে সিদ্ধান্ত হয় হবে। আপনারা চলে যান। জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, মহাপরিচালক যেহেতু আমাদের বলেছেন, আমরা তো অবশ্যই চলে যাব। এরপর আমার রুমে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জিনিস ব্যাগে ভরি। তখন লবিতে গিয়ে বাইরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। কিন্তু তারা কথা বলতে চান না। ওই মুখগুলো আগে পরিচিত থাকলেও সেই মুখগুলো আজ খুব অপরিচিত লাগছিল। যাই হোক, পরে আমি সেখান থেকে চলে আসছি। ফেসবুক লাইভে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন জ্যোতিকা জ্যোতি।