প্রভাবশালীদের তালিকায় অনিল কাপুর

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
কয়েক বছর ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির বিভিন্ন উদ্ভাবন ও ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এআইয়ের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হওয়ার পর থেকে সমস্যাও অনেক বেড়েছে। অনেক সময় আসল-নকল বুঝতে সমস্যায় পড়তে হয়। প্রায়ই শিল্পীদের কণ্ঠস্বর বা অবয়ব নকল করা হয়। এতে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। এ নিয়ে সরব হয়েছেন বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় তারকা, এর মধ্যে ছিলেন বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুরও। এআইয়ের অগ্রগতির পাশাপাশি এ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও নৈতিকতা নিয়ে কাজ করা ১০০ প্রভাবশালী মানুষের তালিকা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত টাইম সাময়িকী। টাইমের এবারের প্রচ্ছদে জায়গা পেয়েছে বিষয়টি। সেখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে স্থান পেয়েছেন বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুর। তিনি ছাড়াও তালিকায় বেশ কয়েকজন তারকার নাম রয়েছে। মার্কিন অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন, কৌতুক অভিনেতা ও নির্মাতা কিং উইলোনিয়াস, শিল্পী লরেন্স লেক ও ইউটিউবার মার্কেস ব্রাউনলি। টাইমের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে অনিল কাপুর সম্পর্কে বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া তারকাদের এআই প্রতিলিপি ব্যবহার বন্ধ করার জন্য হলিউডের বড় স্টুডিওগুলোর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। ভারতের এই অভিনেতা তার এআই প্রতিলিপি ব্যবহার না করার জন্য মামলা করে বিজয়ী হয়েছেন। গত বছর হলিউড শিল্পীদের ধর্মঘটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল এআইয়ের ব্যবহার সীমিত করার দাবি। ওই সময় এ বিষয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন অনিল কাপুর। ডিজিটাল পস্ন্যাটফর্মে নিজের ছবি, কণ্ঠস্বর, নিজের কাজ এবং নিজের সবকিছু যা অজান্তেই ব্যবহার হতে পারে ও নকল হতে পারে, এই আশঙ্কায় দিলিস্ন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। মেধাস্বত্বের অধিকার রক্ষার জন্য মামলার আবেদন করেন। অনিল বুঝতে পেরেছিলেন, এআইয়ের সুযোগ নিয়ে অনেকেই তার প্রতিলিপির অপব্যবহার করতে পারেন। মামলাটি জিতে যান অনিল কাপুর। এআই সম্পর্কে তার সচেতনতা ও এমন উদ্যোগ অনিলকে নিয়ে এসেছে টাইমের তালিকায়। সোস্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা লিখেছেন, 'আমি কৃতজ্ঞ। যে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে রূপ দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে আমিও আছি। আমি নিজেকে এই তালিকায় খুঁজে পেয়ে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। টাইমের এই প্রচ্ছদ কেবল সম্মান নয়, একই সঙ্গে সৃজনশীলতা ও নতুন কিছু উদ্ভাবনে আমার সাফল্যেরও স্বীকৃতি।'