একদল শিল্পীর অন্ধকার জগতের কথা
প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
'৭১-র স্বাধীনতা যুদ্ধে যখন এ দেশের জনতা দলে দলে ট্রেনিং নেয় তখন আবার আরেক দল তাদের নিষ্ঠুরভাবে দমন করার জন্য জায়গায় জায়গায় তাদের ক্যাম্প করে। ঠিক একইভাবে ২০২৪-এর জুলাইয়ে যখন এদেশের সব ছাত্র ও জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তখন এই বৈষম্যবিরোধ রক্ষার জন্য শোবিজের অনেক শিল্পী যেমন রাস্তায় নেমেছিল তেমনি বেশ উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক শিল্পী ছাত্রদের সমর্থনে নেমেছিলেন রাজপথে। যেসব শিল্পী আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত, তারা গোপনে ছক কষছিলেন, কীভাবে এই আন্দোলন দমন করা যায়। এরাই সেই '৭১-র রাজাকার-আলবদরদের মতো নৃশংস উপায়ে নানা উপায় খুঁজছিল কীভাবে ছাত্রজনতার আন্দোলন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যায়। এরাই আজকের নব্য রাজাকার-আলবদর।
'আলো আসবেই' নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপে এসব শিল্পী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পক্ষে নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। সেই গ্রম্নপের কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে 'আলো আসবেই' নামের এক কৃষ্ণগহ্বরের মতো ভয়াবহ অন্ধকার জগতের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপ খোলা হয়, যাতে নব্য রাজাকার-আলবদর আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন। সেই গ্রম্নপের কয়েকটি স্ক্রিনশট ফাঁসের পর হতবাক সবাই!
ফাঁস হওয়া সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপটিতে ছিলেন, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, রফিক (রজনীগন্ধা), সাবেক এমপি চিত্রনায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, বিজরী বরকতুলস্নাহ, আজিজুল হাকিম, জিনাত শানু স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, রওনক হাসান, পরিচালক মাসুদ পথিক, সাবেক এমপি মোহাম্মদ এ আরাফাত, আশনা হাবীব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, জমশেদ শামীম, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, নাট্যজন মামুনুর রশিদ, খান জেহাদ, এবার্ট খান, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, আশরাফ কবীর, দীপান্বিতা মার্টিন, সাবেক এমপি হাসান মাহমুদ, সাইমন সাদিক, জুয়েল মাহমুদ, জায়েদ খান, হারুনুর রশিদ, ঝুনা চৌধুরী, লিয়াকত আলী লাকি, সৈয়দ আওলাদ, সাইদ খান, সাখাওয়াত মুন, স্মরণ সাহা, সায়েম সামাদ, শাকিল (দেশনাটক), শহীদ আলমগীর, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, সঙ্গীতা মেখাল, সৈয়দা শাহানুর, মো. শাহাদাত হোসেন, মুশফিকুর রহমান গুলজার, নাহিদ, মিলন, প্রণীল, এসএ হক অলীক, রুনি, রুবেল শঙ্কর, রাজিবুল ইসলাম রাজিব।
এরা প্রত্যেকেই শুরু থেকেই ছিলেন ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে। তারা মত দেন, যেভাবেই হোক, আন্দোলন থামাতে হবে। এর মধ্যে জ্যোতিকা জ্যোতির একটি তথ্যের জবাব দিতে গিয়ে অরুণা বিশ্বাস পরামর্শ দেন আন্দোলনকারীদের গায়ে 'গরম জল' ঢেলে দেওয়ার!
সেই গ্রম্নপের কিছু স্ক্রিনশট এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে, যা নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আপামর শ্রেণিপেশার বহু মানুষ তাদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারে বিপস্নবের প্রতীক 'লাল রঙ' দিয়েছিলেন। 'আলো আসবেই' গ্রম্নপে গেল ৪ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ মিউজিক চ্যানেল 'গান বাংলা'-র স্বত্বাধিকারী কৌশিক হোসেন তাপসের 'লাল রঙ' করা ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। তার নিচে জ্যোতিকা জ্যোতি লেখেন, 'এই বাটপারদের চিনে রাখা এবং সময়মতো সাইজ করা এখন সময়ের দাবি।'
এ ছাড়াও রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আগুনের তথ্য দিয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি লিখেছিলেন, সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না 'টোকাই জামায়াত-শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীরা'। উত্তরে অরুণা বিশ্বাস লিখেছেন, 'গরম জল দিলেই হবে'। তানভীন সুইটি লিখেছিলেন, 'কোনোভাবেই পিছু হাঁটা চলবে না। আমরা কখন, কোথায়, কীভাবে একত্রিত হবো, সেটা আমরা সবাই মিলে ঠিক করে নেব।'
অন্য একটি পোস্টে লিমন আহমেদ মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে করা একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, অস্ট্রেলিয়ায় বসে আল কায়দার মতো জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। তার মতো নোংরা, লোভী, হিংসুটে, হিংস্র, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্র্রদায়িক মেধাবী এই মহাদেশে আর আসেনি, আর আসবেও না।
এসব নজর এড়িয়ে যায়নি নির্মাতা ফারুকীর। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে লেখেন, 'সহকর্মী ও ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটগুলো উলেস্নখ করে যে, তারা অত্যাচারী শাসকের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল এবং আমাকে নিয়ে বিভিন্ন নোংরা শব্দ ব্যবহার করেছে, অত্যাচারী থাকলে তারা হয়তো আমার এবং তিশার কোনো না কোনো ক্ষতি করত। আমার ব্যক্তিগত নিরাময়ের উপায় ভুলে যাচ্ছি! ভালো থাকতে দাও! আমীন।'
তিনি আরও লিখেছেন, 'সরকারের উচিত আলোচনার মাধ্যমে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা। ১৪৬টি স্ক্রিনশট পাওয়া গেছে। যারা এই আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে উস্কানি দিয়েছে, তাদের সবারই তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করা উচিত!'
স্ক্রিনশটগুলো এরইমধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনার তৈরি করেছে। এরমধ্যে মোস্তাফা সরয়ার ফারুকীর মতো অনেকেই অরুণা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, রোকেয়া প্রাচী, শমী কায়সারসহ ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সব উসকে দেওয়াদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। আর এরা কেউ শিল্পীও নয়, স্রেফ অভিনেত্রী-অভিনেতা। শিল্পীদের সংবেদনশীলতা থাকে এদের মগজে তাও নেই।
এমন একটি গ্রম্নপে থাকার কথা স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'আমাদের এমন একটি গ্রম্নপ ছিল, এটা সত্যি। যেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে, সেদিন এ বিষয়ে সেই গ্রম্নপে লিখেছিলাম। কারণ, সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে বিষয়টি খারাপ লেগেছে যে হাসপাতালে কীভাবে মানুষ আগুন দেয়? সেখানে তো আমার আপনার পরিবারের সদস্যরাই জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে। সেদিনও আমি কিন্তু ছাত্রদের দায়ী করিনি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায়।'
অভিনেত্রী আরও বলেন, 'এটাও বলতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপটিতে হয়তো আমরা অনেকে ছিলাম। কিন্তু সবার মনমানসিকতা এক না। শিক্ষার্থীদের ওপর গরম জল ঢেলে দেওয়ার যে বিষয়টি ওঠে এসেছে, তা কারও প্রত্যাশিত বক্তব্য নয়। এটা অমানবিক। তবে অন্যের ভাবনা নিয়ে আমি তো কিছু বলার অধিকার রাখি না।'
এসব স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পরে তাদের নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এর মাঝে কেউ কেউ নিজেকে জড়িত নয় বলে দাবি করছেন। অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানান, ঢালাওভাবে কাউকে দোষারোপ করা বা সমালোচনা করা ঠিক না।
পোস্টকারী এ অভিনেতা বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ 'আলো আসবেই' গ্রম্নপে অ্যাড হওয়া প্রসঙ্গে আমার কিছু কথা, একটা গ্রম্নপের অ্যাডমিনের কাছে ফোন নম্বর থাকলেই তিনি সেই গ্রম্নপে যাকে খুশি যতজন খুশি অ্যাড করতে পারেন। অনেক গ্রম্নপ আছে সেখান থেকে চাইলেও কেউ বের হতে পারে না। যদি অ্যাডমিন তাকে ডিলিট না করে।'
গ্রম্নপে কখনো প্রবেশ করেননি দাবি করে ফজলুর রহমান বাবু লিখেছেন, 'আলো আসবেই' গ্রম্নপে আমি কখনো প্রবেশ করিনি বা কে কি লিখছে আমি যদি ওখানে না দেখি আমি কি করে জানব ওখানে কি লিখছে। ঢালাওভাবে কাউকে দোষারোপ করা বা সমালোচনা করা ঠিক না।'
এ পোস্ট করার পরে তোপের মুখে পড়েছেন এ অভিনেতা। কমেন্ট বক্সে আশিক আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, 'আপনাদের হাতে বাচ্চাগুলোর রক্ত লেগে আছে দেখেন ভালো করে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা যখন গণহত্যায় মেতে উঠল তখন আপনারাও তার সঙ্গী হলেন! খুব সম্মানের ছিলেন আপনি এখন আপনাদের ঘৃণা করতেও ঘেন্না লাগে। হাজারের ওপরে শহিদ হয়ে যাওয়া সন্তান হারানো সব মায়ের অভিশাপগুলো নেমে আসবে আপনাদের ওপর ইনশাআলস্নাহ।'
নাজমুল আহসানের ভাষ্য, 'অনেক বেশি কষ্ট পেলাম পিও, আপনার একটি কথা মনে পড়ে দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে যে কোনো ছবি নাটকে অভিনয় করা সম্ভব না।'
নবীনের নামে আরেকজনের লিখেছেন, 'ভাই আপনাকে এ রকম একটা গ্রম্নপে কেউ অ্যাড করেছে, আপনি দেখলেন সেখানে গণহত্যার পস্ন্যান। তো, গ্রম্নপ থেকে বেরিয়ে গেলেন না কেন?'
ওই গ্রম্নপে অভিনয়শিল্পীদের বিভিন্ন মন্তব্যের মধ্যে উলেস্নখযোগ্য একটি ছিল, বর্তমান সময়ের ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানকে নিয়ে অভিনেতা মিলন ভট্টাচার্যের একটি মন্তব্য।
যেখানে দেখা যায়, সাদিয়া আয়মানকে 'তথাকথিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী' বলে মন্তব্য করেন মিলন। বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেননি এই অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'আলো আসবেই' গ্রম্নপের স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হতেই মিলনের সেই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন তিনি।
সাদিয়াকে নিয়ে মিলনের মন্তব্যের সূত্রপাত, বিটিভি প্রাঙ্গণে গিয়ে অভিনয়শিল্পীদের কান্নার ঘটনাকে ঘিরে। জুলাইয়ে দেশে যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, তখন একদল শিল্পী শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা না বলে উল্টো বিটিভি প্রাঙ্গণে গিয়ে টেলিভিশনটির ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আওয়াজ তুলে। লোক দেখানো মেকি কান্নাকাটি করে। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেও কথা বলেন।
আশনা হাবিব ভাবনা শুরু থেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে। ছাত্রজনতার ওপর ঢালাওভাবে হত্যা ও দমন-পীড়নের পক্ষে। কিন্তু যখন তাদের স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পলায়ন করলেন তখন উপায়ন্তর না দেখে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে থাকার ভেক ধরলেন। দেয়ালে আবু সাঈদের ছবি এঁকে কান্না করার অভিনয় করেন।
যারা বিটিভি প্রাঙ্গণে গিয়ে সে সময় কান্না-আহাজারিতে ভেঙে পড়েন তাদের প্রতি ধিক্কার জানান সাদিয়া আয়মান।
অভিনেত্রীর এমন প্রতিক্রিয়া 'আলো আসবেই' গ্রম্নপে তুলে ধরেন অভিনেতা মিলন ভট্টাচার্য। তখন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস জিজ্ঞেস করেন, সাদিয়া! কে সে? জবাবে মিলন ভট্টাচার্য বলেন, 'এই সময়ের তথাকথিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী।'
প্রায় মাসখানেক বাদে সম্প্রতি অভিনয়শিল্পীদের সেই আলাপচারিতার স্ক্রিনশট ফাঁস হলে মিলন ভট্টাচার্যের উদ্দেশে সাদিয়া আয়মান বলেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ মিলন দাদা, মানুষের মতো দেখতে, শিল্পী নামে শয়তান বেশধারীদের কাছে আমার মতো 'এই সময়ের তথাকথিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী'কে চিনিয়েছেন। যে ভুলকে ভুল বলতে জানে, সত্যকে সত্য বলতে জানে। গ্রম্নপের নাম দিয়েছেন 'আলো আসবেই' তা বেশ ভালো। তবে আপনারা জানেন, আপনাদের নিজেদের জীবনে, মস্তিষ্কে সত্যিকারের আলোর যে ভীষণ প্রয়োজন?
সাদিয়ার সেই পোস্টে মন্তব্য করেছেন অভিনেতা মিলন। সেদিনের ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেছেন, 'আমি খুবই দুঃখিত। যদি সম্ভব হয়, ক্ষমা করে দিও। আমার এমন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। আমি এভাবে বিষয়টা বোঝাতে চাইনি। এটা একটা কথার সিরিয়ালে আসছে। যাই হোক, আমি লজ্জিত এমন শব্দ ব্যবহারের জন্য।'
মিলন আরও বলেন, তোমার বিরুদ্ধে আমি নই, বিশ্বাস করো। দুঃখিত, সে সময়ে দেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য। কি যে কথা বলেছি, সত্যিই বলছি- 'মাথা ঠিক ছিল না'। বিশ্বাস করো, আমি চাই তুমি বিষয়টা বুঝবে, তোমার বিরোধী নই আমি।