বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম, অপরাধের পেছনে সুশীল সমাজের দায় দেখছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। কারণ এই সরকার বা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকা এই সু-শীল সমাজ থেকে কখনোই সরকারের অপহরণ, ক্রসফায়ার, গুম, খুন কোনো কিছু সম্পর্কেই নূ্যনতম প্রশ্নও করা হয়নি, প্রতিবাদ তো দূরের কথা। আর তাতেই এসব অপকর্মের সঙ্গে এই সু-শীল সমাজেরও যোগসাজশ দেখছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আসিফ আকবর।
একইভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে সরকারের বর্বরতা ও ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় সুশীলদের সম্পৃক্ততা আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
যে কারণে হাসিনা সরকারের সহযোগী এ সব সুশীলদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন এই গায়ক। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতেও তরুণ প্রজন্মের প্রতি বার্তা দিয়েছেন তিনি।
রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আসিফ লিখেছেন, 'সু-শীল শব্দের বর্তমান আভিধানিক অর্থ খুনির সহযোগী। সু অর্থ চৌকস আর শীল অর্থ নাপিত। চৌকস নাপিত বিশিষ্ট এই সু-শীলরা ছিল এর আগের গুম-খুনের উৎসাহ প্রদানকারী। এদের জীবাশ্ম টিকে আছে শুধু ফেসবুকে। এদের চিহ্নিত করুন, ধ্বংস করে দিন। এরাই গত ষোল বছর গণহত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। আর মাত্র বিশ দিনে হাঁপিয়ে ওঠে বলছে- এমন স্বাধীনতাই কি আমরা চেয়েছিলাম!'
কিন্তু তারপরেও এই সু-শীলরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আয়না ঘরের চিত্রগুলো সম্পর্কে টুঁ শব্দ পর্যন্ত করে না।
তিনি আরও লিখেছেন, 'এই ফুটফুটে সুন্দর সু-শীলরাই তথাকথিত স্মার্ট এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসেপ্টের প্রসবকৃত শয়তানের দল। নতুন বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। তরুণ প্রজন্ম কবর দিয়েছে এদের, রচনা করেছে নতুন ঘৃণার ইতিহাস- আমি আওয়ামী লীগ দেখেছি।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, 'প্রজন্ম সামনে এগিয়ে চলো, মৃতু্যর স্বাদ খোঁজো রক্তের ধমনীতে। ভালোবাসা অবিরাম।'
এই স্ট্যাটাসের সঙ্গে পুলিশের ভ্যানে মরদেহ ছুঁড়ে ফেলার একটি কার্টুন ছবি প্রকাশ করেন তিনি। যেটি মূলত গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলি ছোড়ার প্রতিচ্ছবি।
এ ঘটনায় সেদিন আন্দোলনকারীদের অনেকেই তখন ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে পুলিশ নিহতদের একটি ভ্যানে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।