স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছেন দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা। বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এসব জেলায় বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও উদ্ধারে কাজ করছেন। পিছিয়ে নেই চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। যে যেভাবে পারছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও শেয়ার করেছেন চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলী। যেখানে দেখা যায় বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, বন্যার্তদের উপহারসামগ্রী পৌঁছানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
ভিডিও শেয়ার করে বুবলী ক্যাপশনে লিখেছেন, 'বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরও দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে আমি সব সময় চেষ্টা করি এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে, কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি। সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহারসামগ্রী জমা হয়েছে।'
এ অভিনেত্রী শেষাংশে বলেন, 'কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বন্যার পানিতে যোগাযোগব্যবস্থা খুব নাজুক গ্রামের দিকে। তাই সবাইকে অনুরোধ করব বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহার সামগ্রীগুলো পৌঁছায়, সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।'
কমেন্ট বক্সে বুবলীর এ কাজের প্রশংসা করে মুক্তা আক্তার তানিয়া লিখেছেন, 'মাশাআলস্নাহ আলহামদুলিলস্নাহ ভালো কাজের জন্য আলস্নাহর কাছে দোয়া করছি যেন এরকম আরও ভালো কাজে আপনি এগিয়ে আসুন, দেশের কল্যাণে আপনার ভালো কাজের জন্য আলস্নাহ উত্তম জাযাক দান করুন আমিন।'
নয়ন শেখ নামে আরেকজন লিখেছেন, 'অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য আপনি, যেভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সঠিকভাবে যেন প্রত্যেকটা পরিবারের পায় সেরকম সুব্যবস্থা করে সকলের কাছে পৌঁছিয়ে দেবেন।' জুয়েল খন্দকারের ভাষ্য, 'আপনি নোয়াখালীর মেয়ে হিসেবে এটা আপনার দায়িত্ব ছিল, অনেক ধন্যবাদ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, এভাবে সব সময় থাকবেন।' উলেস্নখ্য, বুবলীর কর্মজীবন শুরু হয় সংবাদ পাঠ দিয়ে। তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনে ২০১৩ সালে সংবাদ পাঠ শুরু করেন। এরপর ২০১৬ সালে বসগিরি চলচ্চিত্রের পরিচালক শামীম আহমেদ রনি তাকে এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি সম্মত হন।