'মানুষ পাশে থাকলে দেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে'
প্রকাশ | ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
ইতিহাসের ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশ। এমনিতেই আগে থেকেই ধুঁকছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে আবার ভারত ফারাক্কার সব গেট খুলে দিয়েছে। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্ণীপুর, কুমিলস্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো পস্নাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এ মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষ।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। এগিয়ে এসেছেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনিও। সেই সঙ্গে দেশবাসীর এমন একতাবদ্ধ হয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো হৃদয় জয় করেছে অভিনেত্রীর।
এ নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন মিম। নতুন বাংলাদেশ মিমকে আশান্বিত করছে। তার মতে, এভাবে সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে মানুষের পাশে থাকলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এ বিষয়ে মিম বলেন, 'নতুন বাংলাদেশ সবাইকে শক্তিশালী করে তুলছে। আমার মনে হয়, এখন আর কেউ একা অনুভব করবে না। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী, কুমিলস্নার মানুষের পাশে যেভাবে গোটা বাংলাদেশের মানুষ দাঁড়িয়েছে, এটি তার প্রমাণ। এখন আমরা কেউই একা নই। বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লেগেছে। এছাড়া শিল্পীসমাজ যে যেভাবে পেরেছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
'এর আগেও শিল্পীসমাজ সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। কিন্তু এবারের বিষয়টি আগের সবকিছুর চেয়ে আলাদা। আমি দেখলাম অনেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার নিয়ে বন্যায় পস্নাবিত অঞ্চলে ছুটে গেছেন। অনেকে ঢাকায় বসেই তাদের জন্য সহযোগিতা করছেন। এভাবে সবাই যার যার পাশে থাকলে আমাদের চেয়ে শান্তিতে আর কোনো দেশের মানুষ থাকবে না। এই একতা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এ চেষ্টাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
কাজে ফেরা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, 'অনেক দিন পর কাজে ফিরেছি। কিন্তু মনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ আমাকে মর্মাহত করে তুলছে প্রতিনিয়ত। তার পরও তো কাজে ফিরতে হবে। আমি বর্তমানে বেশকিছু বিজ্ঞাপনের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। শুটিং সেট থেকেই কথা বলছি।'
সিনেমার ব্যস্ততা নিয়েও কথা বলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, 'বেশকিছু নতুন সিনেমার কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু দেশের এ পরিস্থিতি দেখে সেভাবে এগোচ্ছি না। সবকিছু একটু স্থিতিশীল হলে তখনই সিনেমার কাজে
ফেরার ইচ্ছা আছে। কারণ সিনেমার
বিষয়টি বিজ্ঞাপনের মতো নয়। তাই একটু
সময় নিয়ে আবারও ব্যস্ত হওয়ার
পরিকল্পনা রয়েছে।'