বন্যা ইসু্যতে হঠাৎ মায়াকান্না তোপের মুখে জয়া

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
স্মরণাতীতকালের ইতিহাসে সবচাইতে বীভৎস ও নিষ্ঠুরতম 'জুলাই-আগস্ট গণহত্যা'র প্রেক্ষাপটে একেবারেই চুপ ছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। এতটুকু কুম্ভিরাশ্রম্নও ঝরেনি তার চোখ দিয়ে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে পাখির মতো হত্যা করল স্বৈরাচার শেখ হাসিনার হকুমে পুলিশ, বিজিবি,র্ যাব- এতে এতটুকু হৃদয় টলেনি জয়ার। এবার সরকার পতনের ১৭ দিন পর দেশের চলমান বন্যা ইসু্যতে মুখ খুলেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্যার্তদের সাহায্যে পোস্ট দিতেই তোপের মুখে পড়েন বন্যায় এই মেকি, ছদ্মমানবতাবাদী প্রদর্শনকারী অভিনেত্রী জয়া আহসান। জয়ার এই মেকি মানবতাবাদীর উদ্দেশে চৌধুরী ইয়াসিন আরাফাত নামে এক ভক্ত লেখেন, রক্তের বন্যা যখন বইছিল তখন আপনার মানবতা কোথায় ছিল? জাকারিয়া মাসুদ মুন্না নামে একজন লেখেন, 'একজন ভারতীয় এজেন্ট যিনি সর্বদা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের চেয়ে ভারতীয় রাস্তার কুকুর নিয়ে বেশি চিন্তিত। এখন বন্যাদুর্গতদের মানবতা দেখানোর চেষ্টা করছেন। এটা কতটা হাস্যকর'। মেকি, ধূর্ত, ছদ্মমানবতাবাদী জয়ার উদ্দেশে আরও লিখেন হাবিব রহমান, 'আপনি তো নিজেই ভারতীয় দালাল! যে ভারতই এই বন্যা নিয়ে মজা করছে। কাজেই সেই তাদের হয়ে আপনার এসব নাটক বন্ধ করেন।' প্রিন্স তুহিন লিখেছেন, 'আপা আপনি ভারতে গিয়ে আরও ছবি করেন, গান করেন, নাচ করেন। দেশ নিয়ে না ভাবলেও চলবে। আপনারা এ দেশে জন্ম নিয়ে সারাজীবন দেশের বিরুদ্ধে গেছেন, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গেছেন। তাই আপনাকে এ সময় প্রয়োজন নেই। দরকার নেই আপনার এই মেকি মায়াকান্নার'। রাকিব হাসান লিখেছেন, 'আপনি না বললেও এ দেশের মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আপনি গর্তে ছিলেন, গর্তেই থাকেন'। কেএইচ রাতুল লিখেছেন, 'আপনার মতো ছদ্মবেশী নারীর দেশকে নিয়ে চিন্তা না করলেও হবে, আমার সোনার বাংলা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা যে ভারতের দালাল, এটা বাংলার মানুষ ভালো করে জানে। নাটক কম কর প্রিয়।' জাবিন তাসনিম খান লিখেছেন, 'এখন বিজ্ঞাপন দিতে আসছে, এখানেও টাকা কামানোর ধান্ধা।' তারেক মাহমুদ লিখেছেন, 'আপনার প্রিয় ভারতের কারণে এই বিপর্যয়। এটা বলার সাহস নেই অথচ দরদ কুড়ানো মার্কা পোস্ট দিচ্ছেন'। নজরুল ইসলাম বাবু লিখেছেন, 'এরপরও তো ভারত গিয়েই নিজেকে বিলিয়ে দেন'। শাকিল আলম অরন্য বলেন, 'এরপরও ভারতের দালালি কর তোমরা'। আকিব ইফরান বলেন, 'বন্যাকে ঢাল বানিয়ে দীর্ঘদিন গর্তে থাকা অমানুষরা বের হচ্ছে, কুমিরের কান্না শুরু'! ইথার নামে একজন লিখেছেন, 'বাংলাদেশের মানুষ এবং ছাত্রদের কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নেন, পরে এগুলো করতে আইসেন পিস্নজ। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরামর্শটা দিলাম, ক্ষমা চান করজোড়ে।' হাসান মাহমুদ লিখেছেন, 'কত টাকা খাইছেন এসব ফাউন্ডেশন বিজনেসকে প্রমোট করতে? আপনারা টাকা ছাড়া কিছু করেন এখন আর বিশ্বাস হয় না। আমার দুই চাচা এখানকার দুই কোম্পানিতে আছে, খোঁজ নিতে বেশি টাইম লাগবে না'। প্রিয়া সেন বলেছেন, 'এতদিন আইডি ডি-অ্যাক্টিভ রেখে সময় ও সুযোগ বুঝে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেছেন কতিপয় কোম্পানির! সুযোগের সদ্ব্যবহার! সেই তো আবার আমাদের কলকাতায় এসে পড়ে থাকবেন। আপনার বাংলাদেশে থাকার দরকার নেই। আপনারে আমরা আমাদের স্বাধীন বাংলায় দেখতেও চাই না। আপনি তো নিজেই নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক মনে করেন না। কাজেই আপনাকে আর এভাবে মেকি মানবতাবাদী দেখিয়ে বাঙালিত্ব দেখানো লাগবে না। দেখলেন তো, হাসিনার দালালি করে লাভ হলো না। শেষ স্ট্যাটাস ডিলিট করলেন কেন? মানুষের গালি শুনে? এই আন্দোলনে আপনার ভূমিকা কী? কোনো স্ট্যাটাস প্রসব করেননি বা উপস্থিত হননি। এখন বন্যার্ত যারা আছেন, তাদের আপনি না বললেও সবাই স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্য করছেন। সুবিধাবাদী অভিনেত্রী কুমিরের ক্রন্দন করতে এসেছেন'। কাইফ হাসান লিখেছেন, 'আপনার বিবেক জাগ্রত হয়েছে, এতেই আমরা খুশি। এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল, তখন আপনাদের বিবেক মৃত ছিল, সেটাই আমাদের দুঃখের জায়গা। আপনারা ছিলেন অবৈধ খুনি হাসিনার ভোট চুরির ব্র্যান্ড প্রমোটার। আপনাদের আমরা ভালোবেসে প্রতারিত হয়েছি। আপনাদের কাছে কুকুরের জীবনের মূল্য যতটা, মানুষের মূল্য ঠিক ততটাই নগণ্য। আপনাদের এ দেশের মানুষ ভালোবাসে আর আপনারা একটা দলের হয়ে ব্র্যান্ড প্রমোটিং করেন। অথচ আপনাদের হওয়ার কথা ছিল প্রতিটি মানুষের ভালোবাসার পাত্রী। হয় তো জনগণ আপনাদের এই ধোঁকা ধরতে পেরেছে। তাই আপনাদের এত সহজে ক্ষমা করবে না। লিখেছেন সবকিছুই ঠিক আছে কিন্তু ভারত এই পানিটা দেশে ছেড়ে মানুষগুলোকে মৃতু্যর মুখে ঠেলে দিয়েছে, সেই কথাটা বলেননি। আসলে আপনারা জন্মগতভাবেই বৈষম্য তৈরি করে রেখেছেন। সত্যিই আপনাকে ভালোবাসি, কিন্তু আপনি জঘন্য কাজ জাতির সঙ্গে করেছেন, এতে ভালোবাসাটা ক্ষীণ হয়ে আসছে। আশা করি, কমেন্ট এবার ডিলিট করবেন না। জাতির জানা উচিত, আপনারা কতটা আওয়ামী লীগ ছিলেন। এসএ আখতার লিখেছেন, প্রথমত আপনি এবং চঞ্চল চৌধুরী ভারতীয় দালাল গোলাম, বাংলাদেশের শত্রম্ন, আপনি স্বৈরাচার কুখ্যাত 'আয়নাঘরে'র পিশাচী শেখ হাসিনার দালাল। শায়ের রহমান লিখেছেন, বাংলাদেশের ত্রয়ী শত্রম্ন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, জয়া এবং চঞ্চলকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।