ম বিনোদন রিপোর্ট সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও অসাংগঠনিক ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে ঘটেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদল। টানা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাংলাদেশে অন্তর্র্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওপার বাংলার তারকা অভিনেতারাও অভিনন্দন জানিয়েছেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্র্বর্তী সরকারের বাকি সদস্যদের। তবে বিষয়টি নিয়ে সরব অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিও। সদ্য পতন হওয়া বিগত সরকার দলীয় অভিনেত্রী হিসেবে চিহ্নিত তিনি। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না শেখ হাসিনার পতনকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা শেখ হাসিনার হুকুমে পুলিশ শক্ত হাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আরও হাজার হাজার জনতাসহ ছাত্রের রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়া হলো, পঙ্গু করা হলো- এত শত শত অরাজনৈতিক ও অসাংগঠনিক ছাত্র ও জনতা খুন করা হলো তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র সমবেদনা জাগা তো দূরের কথা, উল্টো কোথায় কি ক্ষতি হলো এ দিকেই তার নজর বেশি। আর এই জন্যই তার কথার সুরে ক্ষোভ, অভিমান! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, 'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত সরকার শুরুই করল বৈষম্য দিয়ে?' কেন জ্যোতিকার এত ক্ষোভ? সে কথাও তিনি পোস্টে লিখেছেন। দেশের পরিস্থিতি আগের তুলনায় স্বাভাবিক। ফলে যারা এতদিন সমাজমাধ্যম থেকে দূরে, তারাও ক্রমশ নিজেদের ফেসবুকে মেলে ধরছেন। সেই সুর অভিনেত্রীর লেখনীতেও, 'নতুন বাংলাদেশের প্রথম দিন। ভয়ঙ্কর ক'টা দিনের পর, বাক্?স্বাধীনতার প্রথম দিনে এই লেখার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা উদ্যাপন শুরু করলাম!' তার পরেই তিনি আসল বক্তব্যে গিয়েছেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে শুধু কুরআন রাখা হয়েছে। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ রাখা হয়নি! এতেই তিনি অবাক এবং বিস্মিত। কারণ, বরাবর দেখে এসেছেন, বাংলাদেশে যেসব অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ রাখা করা হয়, সেখানে কুরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটকও থাকে। অথচ, এ দিন কেবল একটি ধর্মগ্রন্থই রাখা হয়েছে। তার আরও যুক্তি, ব্যক্তিগতভাবে তিনি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখেন না। কিন্তু এত দিন ধরে যা পালিত হয়ে আসছে, তারই বা অন্যথা ঘটবে কেন, জানতে চেয়েছেন জ্যোতিকা। তাই তার ক্ষোভ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে যে সরকারের জন্ম, তাকে তো শুরু থেকে বৈষম্যহীন হতে হবে! অভিনেত্রীর মন্তব্যবাক্সে ইতিমধ্যেই তাকে অনেকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে এইসব ধর্মগ্রন্থ থাকলেই বা কী। এর কারণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনো পরিবর্তন আনে? শাসকরা কেন স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে, আয়না ঘরের মতো অন্ধকার প্রকোষ্টে হাজার হাজার মানুষ হত্যা ও গুম করে কেন এই ধর্মগ্রন্থ পাঠ শুনেও- এ নিয়েও তো তিনি প্রশ্ন তুলতে পারতেন। নয়তো কুরআনই হোক আর গীতাই হোকা, এই আলঙ্কারিক প্রয়োজনের কী দরকার। এক রকম এক চোখা দৃষ্টি দিয়েই নতুন অন্তর্র্বর্তী সরকারের সমালোচনা করলেন জ্যোতিকা জ্যোতি।
সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও অসাংগঠনিক ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে ঘটেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদল। টানা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাংলাদেশে অন্তর্র্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওপার বাংলার তারকা অভিনেতারাও অভিনন্দন জানিয়েছেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্র্বর্তী সরকারের বাকি সদস্যদের। তবে বিষয়টি নিয়ে সরব অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিও। সদ্য পতন হওয়া বিগত সরকার দলীয় অভিনেত্রী হিসেবে চিহ্নিত তিনি। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না শেখ হাসিনার পতনকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা শেখ হাসিনার হুকুমে পুলিশ শক্ত হাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আরও হাজার হাজার জনতাসহ ছাত্রের রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়া হলো, পঙ্গু করা হলো- এত শত শত অরাজনৈতিক ও অসাংগঠনিক ছাত্র ও জনতা খুন করা হলো তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র সমবেদনা জাগা তো দূরের কথা, উল্টো কোথায় কি ক্ষতি হলো এ দিকেই তার নজর বেশি। আর এই জন্যই তার কথার সুরে ক্ষোভ, অভিমান! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, 'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত সরকার শুরুই করল বৈষম্য দিয়ে?'
কেন জ্যোতিকার এত ক্ষোভ? সে কথাও তিনি পোস্টে লিখেছেন। দেশের পরিস্থিতি আগের তুলনায় স্বাভাবিক। ফলে যারা এতদিন সমাজমাধ্যম থেকে দূরে, তারাও ক্রমশ নিজেদের ফেসবুকে মেলে ধরছেন। সেই সুর অভিনেত্রীর লেখনীতেও, 'নতুন বাংলাদেশের প্রথম দিন। ভয়ঙ্কর ক'টা দিনের পর, বাক্?স্বাধীনতার প্রথম দিনে এই লেখার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা উদ্যাপন শুরু করলাম!' তার পরেই তিনি আসল বক্তব্যে গিয়েছেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে শুধু কুরআন রাখা হয়েছে। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ রাখা হয়নি! এতেই তিনি অবাক এবং বিস্মিত।
কারণ, বরাবর দেখে এসেছেন, বাংলাদেশে যেসব অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ রাখা করা হয়, সেখানে কুরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটকও থাকে। অথচ, এ দিন কেবল একটি ধর্মগ্রন্থই রাখা হয়েছে। তার আরও যুক্তি, ব্যক্তিগতভাবে তিনি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখেন না। কিন্তু এত দিন ধরে যা পালিত হয়ে আসছে, তারই বা অন্যথা ঘটবে কেন, জানতে চেয়েছেন জ্যোতিকা। তাই তার ক্ষোভ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে যে সরকারের জন্ম, তাকে তো শুরু থেকে বৈষম্যহীন হতে হবে! অভিনেত্রীর মন্তব্যবাক্সে ইতিমধ্যেই তাকে অনেকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে এইসব ধর্মগ্রন্থ থাকলেই বা কী। এর কারণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনো পরিবর্তন আনে? শাসকরা কেন স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে, আয়না ঘরের মতো অন্ধকার প্রকোষ্টে হাজার হাজার মানুষ হত্যা ও গুম করে কেন এই ধর্মগ্রন্থ পাঠ শুনেও- এ নিয়েও তো তিনি প্রশ্ন তুলতে পারতেন। নয়তো কুরআনই হোক আর গীতাই হোকা, এই আলঙ্কারিক প্রয়োজনের কী দরকার। এক রকম এক চোখা দৃষ্টি দিয়েই নতুন অন্তর্র্বর্তী সরকারের সমালোচনা করলেন জ্যোতিকা জ্যোতি।