নানা বৈচিত্র্যে ঘেরা আমেরিকান পপ সেনসেশন ব্রিটনি স্পিয়ারসের জীবন। তার অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন 'দ্য উইমেন ইন মি' বইয়ে। মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স কোনো গল্প-উপন্যাসের বই রচনা করেননি। লিখেছিলেন তার জীবনেরই গল্প। যে গল্প আবার ফ্যান্টাসি সিনেমাকেও যেন হার মানায়।
আত্মজীবনী দিয়ে সাজানো গত বছর প্রকাশিত 'দ্য উইমেন ইন মি' নামের বইটি বিক্রিতেও হয়েছে শীর্ষে। বইটিতে ব্রিটনি ছোট্ট একটি 'মিকি মাউস ক্লাব' থেকে পপ সুপারস্টারডমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্ট্রাগলের কথাগুলো তুলে ধরেছেন অসাধারণ উদারতা এবং হাস্যরসের মাধ্যমে। বইটি নিষ্ঠুরভাবে সৎ ছিল এবং প্রাক্তন প্রেমিক জাস্টিন টিম্বারলেকের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে নির্মোহভাবে উঠে এসেছিল।
সেই বই অবলম্বনে এবার নির্মাণ হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। মার্কিন চলচ্চিত্রবিষয়ক সাময়িকী ভ্যারাইটি জানিয়েছে, ব্রিটনির বায়োপিক নির্মাণ করছেন 'উইকেড' নির্মাতা জন এম চু। প্রযোজনা করছেন মার্ক পস্নট।
নিজের বায়োপিকের কথা সরাসরি না জানালেও এক্স-এ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গায়িকা। ব্রিটনি লিখেছেন, 'আমি রোমাঞ্চিত যে, একটা গোপন প্রজেক্টে যুক্ত হয়েছি। খবরটি ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পেরে ভালো লাগছে। সঙ্গে থাকুন।'
পোস্টে প্রযোজক মার্ক পস্নটকে মেনশন করে ব্রিটনি জানান, তিনি সব সময় আমার পছন্দের সিনেমা বানান।
এদিকে আত্মজীবনী প্রকাশের সময় ব্রিটনি বলেছিলেন, 'আমি এই স্মৃতিকথায় আমার হৃদয় এবং আত্মা ঢেলে দিয়েছি। বিশ্বজুড়ে আমার ভক্ত এবং পাঠকদের কাছে তাদের অটল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'
অনেকদিন ধরেই গানে নেই ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ২০২১ সালে বাবার অভিভাবকত্ব থেকে মুক্তি পান গায়িকা। ১৩ বছরের 'বন্দিদশা' থেকে অবশেষে মুক্তি পেলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। মার্কিন এই পপ তারকার ওপর থেকে তার বাবা জেমস স্পিয়ার্সের আইনি অভিভাবকত্ব তুলে নেন আদালত।
এর পর থেকে ইনস্টাগ্রামে কেবল বিনোদনধর্মী কনটেন্ট পোস্ট করেছেন গায়িকা। এর মধ্যে এক সাক্ষাৎকারে এমনও বলেছেন, আবার তার গানে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ব্রিটনির বায়োপিক কবে পর্দায় দেখা যাবে, গায়িকার চরিত্রে কে অভিনয় করবেন- সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। ১৯৯৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ব্রিটনির প্রথম অ্যালবাম 'বেবি ওয়ান মোর টাইম' মুক্তি পায়।