আজকের যায়যায়দিন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাস্তায় নামেন অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। এ মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় অভিনেতা মোশাররফ করিম, আজমেরী হক বাঁধনদের। ছিলেন রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা ও আশফাক নিপুণ, সোহেল মন্ডলের মতো অসংখ্য শিল্পীকে। এদিনের জমায়েত থেকে ফিরে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেন অভিনেত্রী বাঁধন।

বাঁধন বলেন, 'যেদিন থেকে এ ঘটনা ঘটেছে, দু'চোখের পাতা এক করতে পারিনি। একটা অসহ্য পরিস্থিতি চলছে। আমাদের দেশের ছাত্ররা দেখিয়ে দিল কীভাবে প্রতিবাদ করতে হয়। আমি কথা বলতে গিয়ে হয়তো রেগে যাচ্ছি। যে হত্যাকান্ড ঘটে গেল এবং ঘটছে, সেটির বিচার কি আমি চাইব না? যদি না চাই, তা হলে তো আমি এই রাষ্ট্রের কেউ না। তাহলে তো অমানুষ। আমার মনে হয়েছে, এর প্রতিবাদ করা উচিত।'

এ মুহূর্তে বাংলাদেশে গণগ্রেপ্তারি চলছে বলেই দাবি করেন অভিনেত্রী। তার অভিযোগ, নাবালক শিক্ষার্থীদেরও রেয়াই করা হচ্ছে না। ছাত্র-ছাত্রীদের যেভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তারই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তিনি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণ গিয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের। বাঁধন দাবি করেন, সাঈদের হত্যায় অভিযুক্ত হিসেবে ১৬ বছরের এক নাবালককে ধরেছে পুলিশ। যদিও সে জামিন পেয়েছে। কিন্তু বাঁধন দাবি করেছেন, এটা দ্বিচারিতা। তিনি বলেন, 'যতদিন শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে রয়েছেন, ততদিন তাদের সঙ্গেই থাকবেন।'

গান বাংলার ছদ্মবেশে তাপসের অজানা গল্প

বাঁধন বলেন, আমার প্রশ্ন, রাষ্ট্র কি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে না? নাবালকদের যেভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মানতে পারছি না। আমি স্বস্তিতে থাকতে পারছি না। কারণ আমিও মা, ১২ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে আমার।' গণমাধ্যমের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। অভিনেত্রীর দাবি, তার দেশে নিরপেক্ষ সংবাদ পেশ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, 'আমার ১২ বছরের মেয়েও বলছে, বন্ধ করো এসব ভুয়া খবর।'