সা ক্ষা ৎ কা র

পরিস্থিতির কারণে সব কাজই বন্ধ

মোস্তফা কামাল রাজ- একজন স্বনামধন্য টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক। তার পরিচালিত সিনেমা 'প্রজাপতি' মুক্তি পায় ২০১১ সালে। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম। এ চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গীতিকার এবং শ্রেষ্ঠ শিল্পী (নারী) ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া রাজের পরিচালিত উলেস্নখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- 'ছায়া-ছবি', 'তারকাঁটা', 'সম্রাট', 'যদি একদিন', 'ওমর'। বর্তমান ব্যস্ততা ও নানা বিষয় নিয়ে নিমার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসুম বিলস্নাহ্‌ রাকিব

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে? এখন অনেকটা বেকার বলতে পারেন আমাকে! মূলত শুয়ে-বসে দিন কাটছে। গত কয়েকদিন তো বাসা থেকেই বের হইনি, তখন খাওয়া আর ঘুম ছাড়া কোনো কাজই ছিল না। শুটিংয়ে ফিরবেন কবে? এখনো সেভাবে কোনো পরিকল্পনা করিনি। সত্যি বলতে, পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হওয়ার পরেই কেবল শুটিং নিয়ে ভাবব। আমরা বেশির ভাগ মানুষই এখনো উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি। নাটক নিয়ে আপনার আগামী ভাবনা কী? ভবিষ্যতে নিজের ডিজিটাল পস্ন্যাটফর্মের জন্য ভালো ভালো কনটেন্ট প্রযোজনা করতে চাই। ইউটিউবে আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেমাওয়ালা থেকে দর্শকদের নিয়মিত মানসম্পন্ন কনটেন্ট দিতে চেষ্টা করি। আগামীতে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। নতুন সিনেমা কি নির্মাণ করবেন? ইচ্ছা তো আছেই। তবে চলতি বছরে নয়। সিনেমা নিয়ে আরেকটু সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে নতুন সিদ্ধান্তে যেতে চাই। এখন কয়েকটি গল্প নিয়ে ভাবছি। আগামী বছর আমার সপ্তম সিনেমার খবর জানাতে পারব আশা রাখি। বর্তমানে বাংলা সিনেমা কতটা উন্নতি করতে পেরেছে? বাংলা সিনেমার অবস্থা এখন বেশ ভালো। দেশ-বিদেশে আমাদের সিনেমা দর্শকদের গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। প্রতি ঈদেই দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করছেন। এর সুফল বছরের অন্যান্য সময়ে দেখার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। তাছাড়া বছর তিনেক আগেও কিন্তু বিদেশে সেভাবে আমাদের সিনেমা নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যেত না। এখন সেই চিত্রটা ইতিবাচকভাবে বদলেছে। উত্তর আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের সিনেমা দেখতে দর্শকদের আকাঙ্ক্ষা চোখে পড়ার মতো। বিদেশি পরিবেশকরাও এখন আমাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে আমি আশাবাদী। কোন মাধ্যম এগিয়ে, নাটক নাকি সিনেমা? অবশ্যই সিনেমা। সিনেমার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা চলে না। আমি সিনেমা পরিচালনাই বেশি উপভোগ করি। বড় পর্দায় সিনেমা মুক্তি দেওয়া আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের বিষয়। যদিও নাটক দিয়ে আমার পথচলা শুরু। আর আমাদের দেশে দর্শকদের মধ্যে নাটকের চাহিদা আছে। তাদের কথা ভেবে নতুন নতুন কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া নাটক বানাতে সিনেমার তুলনায় খুব একটা সময় লাগে না। এখন আমি নিজে বিশেষ দিবস ছাড়া খুব একটা নাটক পরিচালনা করি না। মূলত প্রযোজনাতেই সময় বেশি দিচ্ছি। আমার সহকারী পরিচালকরাই সিনেমাওয়ালার জন্য নাটক পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে তারা পরিণত হচ্ছে, এজন্য আমার ভালো লাগে।