নন্দিত অভিনেতা আজিজুল হাকিম। কাজ করেছেন মঞ্চ, নাটক, সিনেমা এবং ওটিটিতে। তবে সর্বাধিক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন টিভি নাটকে। অভিনয়ের বাইরে তিনি একজন নাট্যনির্মাতা এবং গল্পকারও। সম্প্র্রতি তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য হয়েছেন। সমসাময়িক নানা বিষয়ে আজিজুল হাকিম কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। তিনি জানান, বর্তমানে প্রচার চলছে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক 'বকুলপুর' এবং 'গোলমাল'। কাজ করছেন বিভিন্ন ওটিটি পস্ন্যাটফর্মের জন্যও। এদিকে ওটিটিতে তার অভিনীত 'দ্য সাইলেন্স' সিরিজটি দর্শকপ্রিয় হয়েছিল। আর এই সিরিজের সিকুয়েলও নির্মাণ হয়েছে।
এখনকার নাটক নিয়ে বলতে গিয়ে আজিজুল হাকিম বলেন, বর্তমানে বেশির ভাগই জনপ্রিয়তার পেছনে ছুটে। তার জন্য কাজ করে। আগে কাজ হতো শুধু একটি টেলিভিশনে, এরপর একে একে অনেক চ্যানেল এসেছে। এখন ইউটিউব-ফেসবুকে কাজ হচ্ছে, ওটিটিতে হচ্ছে। ফরম্যাটের পরিবর্তনের পাশাপাশি কাজের ধারাবাহিকতারও পরিবর্তন হচ্ছে। এখন অভিনয় কিংবা নির্মাণে যারা কাজ করছেন তারা কেমন করছেন? উত্তরে এ অভিনেতা বলেন, কে কতটা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে, কতটা ভালো কাজ করছে তার বিচার করবেন দর্শক। আমি আশা করব নতুনরা তাদের মেধা ও চিন্তাভাবনা দিয়ে কাজ করবে। প্রতিটি মানুষের নিজ স্বাধীনতা রয়েছে। নিজের মতো কাজ করাটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি। এখন দর্শক যার কাজ পছন্দ করবে সে এগিয়ে যাবে, যারটা করবে না সে থেমে যাবে। বর্তমানে অনেক তরুণের সঙ্গে আমি কাজ করছি। সবাই ভালো করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে তরুণ নির্মাতারা খুব ভালো করছে। সেন্সর বোর্ডে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, সেন্সর বোর্ডের সদস্য হওয়ার পর নিয়মিত দেশি-বিদেশি সিনেমা থেকে শুরু করে ডকুমেন্টারিও দেখতে হয়। বিষয়টি উপভোগ্য, তবে দায়িত্বটা খুব কঠিন। সেন্সরের কিছু নীতিমালা আছে, সেগুলো অনুসরণ করতে হয়। দেশের ভাবমূর্তি যেন ক্ষুণ্ন না হয় এবং কোনো গোষ্ঠী কিংবা ধর্মীয় বিষয়ে যাতে আঘাত না আসে সেই বিষয়গুলো দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তবে আমাদের সিনেমার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে 'তুফান' সিনেমা নিয়ে তিনি বলেন, আমি নিজে সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখেছি। দর্শকদের যে উচ্ছ্বাস সেটা দেখেছি। অনেকদিন পর এ রকম একটা ছবি দর্শক উপভোগ করেছেন। ছবিতে শাকিব খান তার অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেছে, এটা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। সর্বোপরি বলব এই ধরনের সিনেমা বাংলাদেশের জন্য পজেটিভ সাইন।