যুক্তরাষ্ট্রে ফিল্মফেয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শিকাগোর একটি পাঁচতারা হোটেলে অগ্নিকান্ডের মুখোমুখি হয়েছেন দুই বাংলার তারকারা। প্রাণ বাঁচানোর জন্য অধিকাংশ শিল্পী হোটেলের সিঁড়ি ভেঙে ছুটেছেন নিচতলায়। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী আমেরিকায় তখন ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হোটেলের কোনো একটি রুমে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে আতঙ্কে ঘুম ভাঙে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও অরিন্দম শীলদের।
এই অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানিয়ে নির্মাতা অরিন্দম শীল বলেন, ?'ভালো করে চোখ মেলতে পারিনি। হঠাৎ অ্যালার্মের শব্দে ধড়মড়িয়ে উঠে বসি। খাটে রাজ্যের জিনিসপত্র ছড়ানো। কিন্তু গোছাবে কে? আগে জিনিস না আগে প্রাণ?' তিনি জানান, গরম পোশাক গায়ে জড়ানোর সময়টুকুও পাননি তারা। ওই অবস্থাতেই পাঁচতলা থেকে এক তলায়! অরিন্দম আরও জানিয়েছেন, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা অভিনেত্রী মমতাশঙ্করের। তিনি না পারছেন সিঁড়ি ভাঙতে, না পারছেন কোথাও দাঁড়াতে। ব্যথা নিয়ে কোনো মতে এক পা এক পা করে সিঁড়ি বেয়ে নেমেছেন। কথা বলেছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও। সম্প্রতি তার পরিচালনায় 'অযোগ্য' ছবিটি দর্শকের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। সাফল্যের সেই সাধ উপভোগ করতেই সস্ত্রীক পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। কৌশিকের কথায়, 'আমরা সবাই হইহই করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামলাম। প্রত্যেকে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সবার একটাই চিন্তা, যে করে হোক প্রাণে বাঁচতে হবে।' এদিকে এমন ভয়ের মাঝেই ঘটেছে মজার কান্ড! প্রাণ হাতে করে নিচে নামার পর হঠাৎ এক প্রবাসী বাঙালি বেজায় খুশি পরিচালক অরিন্দমকে দেখে। তিনি হাসতে হাসতে তার কাছে এসে বললেন, 'এত খারাপের মধ্যেও একটা ভালো যে, আপনাকে কাছে থেকে দেখতে পেলাম। চলুন, সেলফি তুলি?' গণমাধ্যমে এ কথা বলে হেসেছেন অরিন্দম নিজেও। তিনি জানালেন, সবাই এখন নিরাপদে রয়েছেন। ফায়ার অ্যালার্ম বাজতেই নিয়ম মেনে সিঁড়ি বেয়ে এক্সিট নেন তারা। মিনিটের মধ্যেই হাজির দমকল। সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ স্থানে।