ব্যাংককে দেবদাস, হিমু, মজিদ, কপিলা...

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
.

এবার তৌসিফ, সাব্বির, কেয়া পায়েল, সামিরা খান মাহি, টয়া, রোদসী, চাষী আলম, সাজু খাদেম, শতাব্দী ওয়াদুদ, মিশু, জোভান, তানিয়া আহমেদ, মাহা, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, মুকিত জাকারিয়া, আজাদ আবুল কালামসহ একঝাঁক তারকা নিয়ে ব্যাংককের পাতায়াতে নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিক নাটক 'এমন যদি হতো'। রাজিবুল ইসলাম রাজিবের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে আবু হায়াত মাহমুদ ও সাইদুর রহমান রাসেল। এর গল্পের ধরন প্রসঙ্গে নির্মাতাদ্বয় জানান, পাতায়ার রাস্তা দিয়ে দৌড়ে আসছে প্রাগৈতিহাসিক উপন্যাসের চরিত্র ভিখু। এদিকে নবাব সিরাজউদ্দৌলা তার দরবার খুঁজে পাচ্ছে না। গোপাল ভাড়ের হয়েছে আরেক জ্বালা। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র জরুরি খবর পাঠিয়েছেন, পাতায়ার রাস্তা ধরে হাঁটছেন কিন্তু গোপালের হাঁটা শেষ হচ্ছে না। ওদিকে দেবদাস বেশ খুশি, চারদিকে এতবার; সুরা পানের আর সমস্যা নাই। কুবের আর কপিলা সমুদ্রের পাড়ে বসে কথা বলছে। কপিলা, 'মাঝি আমারে তুমি কই নিয়া আইলা?' কুবের বলে, 'আমিওতো বুঝতাছি না কপিলা। মনে হয় আমরা পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাস থেইকা আরেক গল্পে ঢুইকা গেছি।' এদিকে রিসোর্টে গাছের ওপর লাল সালু বিছিয়ে মাজার করে ফেলেছেন মজিদ। হলুদ পাঞ্জাবি পরে এই গরমে খালি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে হিমু হাজির হয় রূপার সামনে। এভাবে উপন্যাস থেকে উঠে এসেছে শেষের কবিতার লাবণ্য, মাসুদ রানার সোহানী, নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাঈজি লুতফা প্রমুখ। চরিত্রগুলোর বিচিত্র সব ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় গল্প। ধারাবাহিকটি সম্পর্কে পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, 'এটি একটি এক্সক্লুসিভ ধারাবাহিক। এত এত তারকা নিয়ে দেশের বাইরে চিত্রায়িত পুরো একটি ধারাবাহিক নাটক আর হয়নি। এখানে এমন অনেক জনপ্রিয় তারকারা অভিনয় করেছেন যাদের সচরাচর ধারাবাহিক নাটকে দেখা যায় না। পাতায়ার নয়নাভিরাম বিভিন্ন স্থানে এর চিত্রায়ন হয়েছে। গল্পটাও চমকপ্রদ। বাংলার ঐতিহাসিক ও জনপ্রিয় চরিত্রগুলোকে নতুনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা। সব মিলিয়ে নাটকটি দর্শকদের জন্য বেশ উপভোগ্য হবে।' ১ জুলাই থেকে ধারাবাহিকটির প্রচার শুরু হচ্ছে মাছরাঙা টেলিভিশনে। প্রতি রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে নাটকটি।