রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

পিএইচ.ডি ডিগ্রি নিলেন চুমকী

বিনোদন রিপোর্ট
  ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০
পিএইচ.ডি ডিগ্রি নিলেন চুমকী

ওপার বাংলার অভিনেত্রীদের সংসদ নির্বাচনী জয়-পরাজয়ের ধুমধারাক্কা আর এদিকে শাকিব খানের 'তুফান'। আর এরই মধ্যে অসাধারণ একটি অর্জন না জানার খবরে ম্স্নান হয়ে রইল দিনভর। নিয়মিত অভিনয়, লেখালেখি আর সংসারের ফাঁকে নাজনীন হাসান চুমকী চুপিচুপি যে এত বড় একটি গবেষণায় ডুবে ছিলেন, সেটি টের পাওয়া গেল বুধবার। এদিন তিনি অর্জন করেছেন শিক্ষাজীবনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পিএইচ.ডি।

২৩ মে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত শেষে ৫ জুন নাজনীন হাসান চুমকীকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি প্রদান করা হলো। জানানো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়টির নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ খানের তত্ত্বাবধানে সম্পাদিত 'বাংলাদেশের শিশু থিয়েটার চর্চা (১৯৯১-২০১০)' শীর্ষক অভিসন্দর্ভের (গবেষণাপত্র) জন্য অভিনেত্রীকে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চুমকী জানান, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর 'বাংলাদেশের শিশু থিয়েটার চর্চা (১৯৯১-২০১০)' শীর্ষক গবেষণাপত্র জমা দিয়েছেন। এরও আগে এ বিষয়ে চালান দীর্ঘ গবেষণা। অবশেষে ৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি পিএইচ.ডি ডিগ্রি (ডক্টর অব ফিলোসফি) অর্জন করেন।

এটিকে জীবনের অন্যতম বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন অভিনেত্রী। প্রতিক্রিয়ায় বললেন, 'এই অর্জনের জন্য শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ড. আফসার আহমদ স্যারকে। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ড. হারুন অর রশীদ খান স্যারের প্রতি। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের শিশু থিয়েটার চর্চা নিয়ে গবেষণার। আমার বিশ্বাস এই গবেষণা আগামীর শিশু থিয়েটার চর্চায় কাজে লাগবে।'

নাজনীন হাসান চুমকী একাধারে অভিনেত্রী, পরিচালক ও লেখক। তিনি ২০০৬ সালে 'ঘানি' চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার অন্য চলচ্চিত্রের মধ্যে 'লালন' উলেস্নখযোগ্য।

১৯৯২ সাল থেকে চুয়াডাঙ্গার মেয়ে চুমকী স্থানীয় অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন এবং জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন। পরে ১৯৯৯ সালে 'যেতে যেতে অবশেষে' নাটকের মধ্য দিয়ে ছোট পর্দায় অভিষেক ঘটে তার, নাটকটির পরিচালক ছিলেন- অনন্ত হীরা। যদিও চুমকী বরাবরই মঞ্চকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তার লেখা, পরিচালিত প্রথম নাটকটির নাম 'যে জীবন দোয়েলের, শালিকের'।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে