পপগুরু প্রস্থানের ১৩ বছর
প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
আসল নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। আমরা তাকে চিনি আজম খান নামে। আর দেশের সংগীতপ্রেমীদের কাছে তিনি পপসম্রাট। গুরু হিসেবেও আখ্যায়িত করেন তার ভক্তকুল। নানান পরিচয়ের এ মানুষটি একাধারে একজন মুক্তিযোদ্ধা, সংগীতশিল্পী, অভিনেতা, ক্রিকেটার ও বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল। তাকে বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ডসংগীতের একজন অগ্রপথিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে তার অনুজ ব্যান্ডতারকা মাকসুদুল হক তাকে বাংলাদেশের রকসংগীতের অগ্রপথিক হিসেবে বিবেচনা করেন। তার গানের বিশেষত্ব ছিল- পশ্চিমা ধাঁচের পপগানে দেশজ বিষয়ের সংযোজন ও পরিবেশনার স্বতন্ত্র রীতি। ওরে সালেকা ওরে মালেকা, রেল লাইনের ওই বস্তিতে, আলাল ও দুলাল, আসি আসি বলে, অভিমানী এবং বাংলাদেশসহ অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা আজম মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে অংশ নেন। সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।
দেশের পপ ও রকসংগীতের কিংবদন্তি আজম খানের গতকাল ছিল ১৩তম মৃতু্যবার্ষিকী। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ৫ জুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। ১৩ বছর পর পপগুরুর মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে আজম খান স্মরণে দারুণ একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। এ কনসার্টে গাইবেন আজম খানের ভাতিজা সংগীতশিল্পী আরমান খান। এই কনসার্টের নাম 'গুরু অব রক : অ্যা ট্রিবিউট টু আজম খান'। কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে আজ কারওয়ান বাজারের ঢাকা ট্রেড সেন্টার অডিটরিয়ামে। আয়োজন করেছে দ্য অ্যাটেনশন নেটওয়ার্ক। এই আয়োজনে আরমান খান ছাড়াও আজম খানের গান গেয়ে শোনাবেন উদীয়মান বেশ কজন শিল্পী। আয়োজকরা জানান, কনসার্ট শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
আজম খান স্মরণে এমন কনসার্ট আয়োজন প্রসঙ্গে ভাতিজা আরমান খান বলেন, 'আজম খানের মতো কিংবদন্তিকে ট্রিবিউট করে এখন আর কোনো শো হয় না। সেই অভিমান বুকে চেপে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের এই আয়োজন। এই অনুষ্ঠানে আমার তিন কাজিন, মানে চাচার দুই মেয়ে ইমা ও অরনী এবং ছেলে হৃদয় খান উপস্থিত থাকবে। এতে আমি ও আমার ব্যান্ড কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছি না। বরং অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটা অংশ আমরা চাচাতো ভাই-বোনদের হাতে তুলে দিতে চাই।' কনসার্টে চাচার কোন কোন গান পরিবেশন করবেন ভাতিজা, জানতে চাইলে আরমান খান বলেন, 'চাচার জনপ্রিয় গানের তো শেষ নাই। এরমধ্যে আসি আসি বলে, পাপড়ি কেন বোঝে না, সালেকা-মালেকা, আলাল ও দুলাল, বাংলাদেশ, অভিমানীসহ ১২ থেকে ১৫টি গান করার পরিকল্পনা আছে। আমার লেখা ও সুরে আজম চাচা গান করেছেন। সেখান থেকেও গাওয়ার ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া কয়েকদিন আগে চাচাকে ট্রিবিউট করে 'গুরুরে' নামের একটি গান প্রকাশ করেছি। সেটিও গাইব।'