হৃদয়গ্রাহী উপাখ্যান হীরামান্ডি

প্রকাশ | ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০

রেজাউল করিম খোকন
সোনাক্ষী সিনহা
পুরুষশাসিত বলিউডে সাধারণত অধিকাংশ সিনেমায় নায়করাই থাকেন সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে। ছবিতে নায়কের শৌর্যবীর্য, প্রভাব, দাপট, মহানুভবতা, সততা, বীরত্ব, সাহস ইত্যাদি দেখাতে দেখাতে নায়িকার তেমন আর গুরুত্ব থাকে না। বলিউডের বেশির ভাগ সিনেমায় নায়কের 'ওয়ানম্যান শো'র পাশাপাশি নায়িকা থাকেন স্রেফ শোপিস হিসেবে ছবির গস্ন্যামার বাড়ানোর একটি বিশেষ উপাদান হয়ে। নারীপ্রধান চরিত্রের সিনেমা বলিউডে হয় না- তাও বলা যাবে না। মাঝেমধ্যে হঠাৎ নায়িকাকেন্দ্রিক ছবি দর্শকমনে ভিন্নতার আবেশ ছড়িয়ে দেয়। হিন্দি সিনেমার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেই অতীত সময় থেকে নায়কদের আধিপত্য ঠিকই বজায় রয়েছে। তবে এর ফাঁকে মাঝে মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ 'মাদার ইন্ডিয়া', 'আঁধি', 'সুজাতা', 'বন্দিনী', 'আর্থ', 'মিরচ মশলা', 'ভূমিকা', উমরাও জান, 'দামিনী', 'সীতা আউর গীতা', 'জীবনধারা', 'খুবসুরত', 'খুন ভারি মাঙ', 'মৃতু্যদন্ড', 'চাঁদনী', 'সাদমা', 'রূদালি'র মতো নারী চরিত্রপ্রধান সিনেমা সবাইকে ভীষণভাবে আলোড়িত করেছে। নারীর সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থান সেলুলয়েডে যথার্থভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি নারী জাগরণেরও অনুপ্রেরণা ছিল এসব ছবিতে। বলিউডে নারীপ্রধান সিনেমার সংখ্যা যথেষ্ট নয়- এমন কথা অনেকবার উচ্চারিত হলেও পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন হয়নি। গত এক দুই দশকে বলিউডে নারীপ্রধান সিনেমা নির্মাণে কিছুটা জোয়ার দেখা গেলেও মূলধারার অধিকাংশ সিনেমাতেই পুরুষদের আধিপত্য বজায় ছিল। 'চাঁদনী বার', 'নো ওয়ান কিল্‌ড জেসিকা', 'কাহানি', 'দ্য ডার্টি পিকচার', 'ইংলিশ ভিংলিশ', 'অস্তিত্ব', 'ব্যান্ডিট কুইন', 'কুইন', 'মর্দানি', 'মেরিকম', 'লজ্জা', 'নিরজা', 'মম্‌', 'পিঙ্ক', 'লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরকা', 'পিকু', 'ওয়াটার', 'ইশকিয়া' প্রভৃতি ছবিতে নায়ক বলতে কোনো পুরুষ অভিনেতাকে দাপুটে অবস্থানে দেখা যায়নি। এ ছবিগুলোতে নারী চরিত্রেই ছিল মুখ্য ভূমিকায়। বলা যায়, তারাই ছিলেন ছবিগুলোর নায়ক। বলিউডের সিনেমায় এবং ওয়েব সিরিজে নারীর জীবন সংগ্রাম, প্রাত্যহিক জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা, ঘরে বাইরে নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নিত্য লড়াইয়ের বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এখন অনেকটাই সাহসী ও নিঃসংকোচ মনে হচ্ছে নির্মাতা এবং অভিনয়শিল্পীদের। এর আগে নারীর প্রতি যে ধরনের উন্নাসিক, সামন্তবাদী, ভোগবাদী মনোভাব ফুটিয়ে তোলা হতো বেশিরভাগ সিনেমা এবং টিভি সিরিয়ালে। তা ক্রমেই কেটে যাচ্ছে। আজকাল বেশ কিছু বলিউডি সিনেমায় এবং ওয়েব সিরিজে নারীর একান্ত মনের কথা অকপটে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেকটাই সাহসী এবং আধুনিকমনস্ক হয়ে উঠছেন সবাই। বলিউডের অভিনেত্রীরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা, বর্ণ, গোত্রের নারীর চরিত্রে অভিনয় করছেন অকপটে, অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে। রূপালি পর্দায় নারী কেবল গস্ন্যামার আইটেম কিংবা শো পিস হিসেবে দর্শকদের মনোরঞ্জন করবে- পুরনো সেই সামন্তবাদী ধ্যানধারণা ত্যাগ করে আজকাল চিরচেনা বাস্তবজীবনের আলোচিত নারী চরিত্রগুলো রূপায়ণের মাধ্যমে বলিউড অভিনেত্রীরা দর্শকমনে দাগ কাটছেন। এ কাজগুলো তারা করছেন সমাজ ও মানুষের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা থেকে। এজন্য ইদানীংকার বলিউড অভিনেত্রী ও নারী চিত্রনির্মাতাদের অভিবাদন জানাতে হয়। বলিউডের সিনেমায় এবং টিভি সিরিয়াল ও ওয়েব সিরিজ, সিনেমায়ও পুরুষদের দাপট বজায় রয়েছে। তবে আজকাল অনেক ওয়েব কনটেন্টে নারীকেন্দ্রিক গল্প তুলে ধরার ভিন্ন প্রচেষ্টা সবার চোখে পড়ছে, যা প্রশংসা কুড়িয়েছে ইতোমধ্যেই। সাম্প্রতিক সময়ে তেমনি একটি প্রচেষ্টা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ডিজিটাল পস্ন্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের নতুন ওয়েব সিরিজ হীরামান্ডি। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন আমলের প্রেক্ষাপটে অবিভক্ত ভারতের লাহোরে একদল বাঈজি এবং গণিকাবৃত্তিতে নিয়োজিত নারীর আনন্দ বেদনা, শোষণ বঞ্চনার শিকার হওয়া জীবনের নানা দিক তুলে ধরার পাশাপাশি পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির আন্দোলনে সামিল হওয়া এবং তাদের আত্মত্যাগের বিষয়গুলো অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী করে তুলে ধরা হয়েছে এই ওয়েব সিরিজটিতে। এই সিরিজে পুরুষ চরিত্রের তেমন জোরালো ভূমিকা দেখা যায়নি। বরং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন আমলের প্রেক্ষাপটে একদল দেহজীবী বাঈজি নারীর জীবনযাপন মূল উপজীব্য হয়ে উঠেছে। অবিভক্ত ভারতের লাহোরের ইতিহাস-সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে নির্মিত 'হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার' পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির প্রথম ওয়েব সিরিজ। প্রচারের পর থেকেই দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে এটি। সিরিজটিতে দেখানো হয়েছে লাহোরের এক যৌনপলিস্নর গল্পের চরিত্রে তখনকার সময়ের প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, উত্তরাধিকার ও রাজনীতির মতো বিষয়গুলো। 'হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার'-এ সঞ্জয় লীলা বনসালি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় লাহোরের হীরামান্ডিতে বসবাসকারী গণিকাদের জীবন তুলে ধরেছেন। 'দেবদাস', 'সাওয়ারিয়া' এবং 'গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি' ছবির মাধ্যমে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি পর্দায় বারবার তুলে ধরেছেন সমাজের যৌনকর্মীদের জীবন সংগ্রাম, তাদের দুঃখ-বেদনা এবং অসম্পূর্ণ প্রেমের কাহিনি। ঠিক একইভাবে, তার প্রথম ওয়েব সিরিজ 'হীরামান্ডি :দ্য ডায়মন্ড বাজার'-এ বানসালি সমাজের এই নিগৃহীত মানুষগুলোকে সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। 'হীরামান্ডি'র পস্নট ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঈজি বাড়ির অবদান নিয়ে। যেখানে প্রেম, প্রতিশোধ এবং বিদ্রোহের কথা রয়েছে। অভিনেত্রীদের 'রাজকীয়' পোশাকে গর্জিয়াস অবতার মুগ্ধ করেছে সবাইকে। ঐতিহাসিক গল্প দিয়ে সবসময়ই দর্শকের মন জয় করেছেন নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালি। প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজ দুনিয়ায় পা রেখেই বাজিমাত করলেন ভারতের এ মাস্টারপিস নির্মাতা। তারকাবহুল এ গল্পটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ২০০ কোটি রুপি। সিরিজটিতে অভিনয় করে আলো ছড়িয়েছেন মনীষা কৈরালা, অদিতি রাও হায়দারি, সোনাক্ষী সিনহা, শারমিন সেগাল, রিচা চাড্ডা ও সানজিদা শেখদের মতো অভিনেত্রীরা। সিনেমায় বর্ণিল অধ্যায় পেরিয়ে 'হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার' সিরিজের মাধ্যমে ওটিটি জগতে পা দিয়েছেন খ্যাতিমান নির্মাতা হিন্দি সিনেমার বর্তমান শোম্যান সঞ্জয় লীলা বানসালি। বরাবরই এমন কিছু বিষয়ের প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক, যাদের থেকে মানুষ অনেকটা দূরে। আসলে বানসালি নিজে, যিনি মুম্বাইয়ের রেড লাইট এরিয়া কামাথিপুরা সংলগ্ন এলাকায় বেড়ে উঠেছিলেন, তিনি এই পতিতালয়ের দুর্ভাগ্যজনক জীবনকে কাছ থেকে দেখেছেন। তাই 'দেবদাস', 'সাওয়ারিয়া' এবং 'গাঙ্‌গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি'-র মতো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি পর্দায় তুলে ধরেছেন তাদের জীবনের সংগ্রাম, তাদের বেদনা এবং অসম্পূর্ণ প্রেমের অনুভূতি। একইভাবে, তার প্রথম ওয়েব সিরিজ 'হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার'-এর মাধ্যমে, বানসালি সমাজের মূলস্রোত থেকে দূরে থাকা মানুষগুলোকে সম্মান, ভালোবাসা এবং সহানুভূতি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। গল্পে ওঠে এসেছে প্রাক-স্বাধীনতা যুগে লাহোরের নবাব এবং সেখানকার বাঈজিদের কথা। প্রাক-স্বাধীনতা যুগে রচিত এই গল্পটি মূলত স্বাধীনতা সংগ্রামে নিষিদ্ধপলিস্নর বিরাট অবদান নিয়ে। যেখানে প্রেম, প্রতিশোধ এবং বিদ্রোহের স্বাদ রয়েছে। মলিস্নকা জান (মনীষা কৈরালা), 'হীরামান্ডির মুখ, ভীষণভাবে জনপ্রিয়। তার একগুঁয়েমি ও অহংকারের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারে না, সে না নবাবদের সম্মান দেয় না ব্রিটিশদের। মলিস্নকার বড় মেয়ে বিব্বো জান (অদিতি রাও হায়দারি) হীরামান্ডির গর্ব, যখন তিনি তার ছোট মেয়ে আলমজেবকে (শারমিন সেহগাল) পতিতালয়ে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিব্বোর আসল লক্ষ্য, তার মায়ের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে দেশকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করা। কবিতার অনুরাগী আলম এই পেশায় আসতে চায় না। একজন নবাবজাদে তাজদার বালুচের (তাহা শাহ) প্রেমে পড়েছে, যার জন্য সে হীরামান্ডি থেকে পালিয়েছে। এদিকে, প্রয়াত বোন রেহানার মেয়ে ফরিদান (সোনাক্ষী সিনহা) মলিস্নকার কষ্ট বাড়িয়ে দেয়। ফরিদানের একটাই লক্ষ্য, মলিস্নকার অভিমান ভাঙানো। এছাড়াও, মলিস্নকার ছোট বোন ওয়াহিদা (সানজিদা শেখ)ও রয়েছেন, যাকে প্রতি পদক্ষেপে মলিস্নকার হাতে অপমানিত হতে চলেছেন। সেখানে লাজ্জো (রিচা চাড্ডা) একজন নবাবজাদের প্রেমে পড়ে। নবাব, ব্রিটিশ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দ্বন্দ্বে এই গণিকাদের জীবন অন্যদিকে মোড় নেয়। তারা নিজ নিজ লক্ষ্যে কতটা সফল? এই সিরিজ দেখলেই সবাই জানতে পারবেন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন আমলের প্রেক্ষাপটে অবিভক্ত ভারতের লাহোরে নিষিদ্ধপলিস্নর যে রাজকীয় এবং অনবদ্য বিশ্ব তৈরি করেছেন বানসালি। তা দেখে চোখ মুগ্ধ হয়ে যায়। সুখ, দুঃখ এবং বিদ্রোহের পরিবেশ অনুযায়ী সোনালি, নীল এবং কালো রঙের দৃশ্য মন ছুঁয়ে যায়। চরিত্রগুলোর বিন্যাস, পোশাকের ডিজাইন সবটাই সেই যুগকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যদি অভিনয়ের কথা বলা হয়, এই সিরিজে রানি মনীষা কৈরালা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক 'হীরামান্ডি' দেখেছেন। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বেশিরভাগ কর্মী নেটফ্লিক্সে 'হীরামান্ডি' দেখেছেন তার মতো। যা শুনে আপস্নুত হয়েছেন 'হীরামান্ডি'র 'মলিস্নকাজান' মনীষা কৈরালা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হাজির হলে মনীষা কৈরালাকে হাসি মুখেই আমন্ত্রণ জানান ঋষি সুনক। তবে ভারতের হয়ে নয়, নেপালি কন্যা হিসেবেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। 'হীরামান্ডি'তে মনীষা যতটা শক্তিশালী চরিত্র পেয়েছেন, ততটাই শক্তিশালী অভিনয় করেছেন। দীর্ঘদিন পর চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে দেখা গিয়েছে মনীষা কৈরালাকে। তার অভিনয়ে ধরা পড়েছে কঠোর পরিশ্রম। মলিস্নকার মনোভাব, অহংকার, কঠোর হৃদয়, একনায়কত্ব এবং অসহায়ত্ব, প্রতিটি আবেগকে পূর্ণভাবে তুলে ধরেছেন মনীষা। এটাকে তার সেরা পারফরম্যান্স বললেও ভুল হবে না। তিনি ছাড়াও অদিতি রাও হায়দারি এবং সোনাক্ষী সিনহাও তাদের চরিত্রে প্রাণ দিয়েছেন। রিচা চাড্ডাও তার ছোট চরিত্রটি খুব ভালোভাবে অভিনয় করেছেন। সিরিজটিতে মনে রাখার মতো সংলাপও রয়েছে। কিন্তু সিরিজের গানগুলো পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হলেও তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি। দর্শক হীরামান্ডি সিরিজটি দেখে সেটিকে ম্যাজিক্যাল এবং দুর্দান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন। কারো মতে, এই সিরিজ ওটিটির বদলে বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়া উচিত ছিল। প্রসঙ্গত আজ থেকে ১৮ বছর আগে হীরামান্ডির শুরু করেছিলেন সঞ্জয় লীলা বানসালি। তখন তিনি এই ছবির জন্য বর্তমান কাস্টের বদলে ভেবেছিলেন রেখা, করিনা কাপুর, রানি মুখোপাধ্যায় প্রমুখের কথা। এমনকি এই ছবিতে তিনি পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান, ফাওয়াদ খান প্রমুখকে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটাও সম্ভব হয়নি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে ছবির মুখ। প্রথমে তিনি এটিকে ছবি হিসেবে আনতে চেয়েছিলেন, পর সিরিজ আকারে মুক্তি দিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে, বনসালি তার সিনেমায় গণিকাদের চরিত্র আনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, 'আমি মনে করি এই মহিলাদের মধ্যে অনেক রহস্য আছে। গণিকা হোক বা যৌনকর্মী বা দেহপসারিণী, তারা একদম আলাদা। তাদের মধ্যে বরাবরই একটা আলাদা রকমের শক্তি থাকে, যা আমার খুব আকর্ষণীয় মনে হয়। তারা নাচ করে, গান গায়। আর এই নাচ-গানের মাধ্যমেই জীবনের আনন্দ, কষ্টগুলোকে ফুটিয়ে তোলে। আর্ট অফ লিভিংয়ের কদর এদের কাছে গেলে বোঝা যায়, এদের পোশাকের রুচি রয়েছে। কেমন ধরনের গয়না পরতে হয়, সেটাও তারা জানেন। তারা শিল্পের অনুরাগী।'