আমি যা মন থেকে চাই তাই করি : পরীমনি
প্রকাশ | ১১ মে ২০২৪, ০০:০০
বিনোদন রিপোর্ট
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। কখনো ব্যক্তিগত, কখনো পেশাগত কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন। শরিফুল রাজের সঙ্গে সংসার ভাঙার পর কাজে ফিরেছেন পরীমনি। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে পুত্র পুণ্যকে (পদ্ম) বড় করছেন। এবার কন্যাসন্তান দত্তক নিলেন পরীমনি।
কন্যা দত্তক নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে একটা লেখা লিখেছেন পরীমনি। লেখার শুরুতে এ অভিনেত্রী বলেন, 'আমার মেয়ে এলো ঘরে। আমার মেয়ে, সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। এই নামেই বিশ্ব চিনবে ওকে। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! পৃথিবীতে আসার ছ'দিন হলো ওর। আমার ঘরে ছেলের পাশে আলো হয়ে আছে।'
কিছুটা সময় নিয়ে মেয়ের ছবি প্রকাশ করার কথা জানিয়ে পরীমনি বলেন, 'আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হলো আলস্নাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন। জীবনে কোনোদিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি। তাই আলস্নাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এলো। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো... আর কিছুদিন যাক।'
আগে একটিমাত্র পুত্র ছিল, এখন আরেকটি মেয়ের মা হলেন। দায়িত্বও বেড়ে গিয়েছে। তা জানিয়ে পরীমনি বলেন, 'ছেলে আসার পর থেকে বাড়ি ও বাইরের সব দায়িত্ব নিজে সামলাচ্ছি। কী করে যে পারি! ছবির কাজ একটানা করতে পারছি না। কিন্তু আমাকে তো এবার আরও কাজ করতে হবে ছেলে আর মেয়ের জন্য। খুব শিগগিরই 'প্রীতিলতা' সিনেমার কাজ শেষ করতে হবে। ওটা আগে করতে চাই। সেই জন্য আগের চেহারায় ফিরতে হবে। আপাতত 'রঙ্গিলা কিতাব'-এর কাজ করছি। এটা হইচইয়ের জন্য আমার প্রথম কাজ। এখন আরও বেশি করে কাজে মন দেব। এমন কাজ করতে চাই যাতে আমার ছেলে আর মেয়ে যেন তাদের মাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে।'
পরীমনি বরাবরই নিজের ইচ্ছায় বাঁচেন। সে কথা আবারও স্মরণ করে বলেন, 'আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল, সেসব নিয়ে কোনোদিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এসব নিয়ম সমাজের তৈরি। এইতো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মা দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান।'
সব কিছু একপাশে রেখে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচতে চান পরীমনি। তা উলেস্নখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, 'এসব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি। এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে একদিকে ছেলে আর একদিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি, তখন মনে হয় পরীমনির আকাশটা বড় হয়ে আসছে।'