দেশ মাতাচ্ছেন সেই আশির দশক থেকে। গানের বাজার থেকে শুরু করে কনসার্ট দিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অনন্য। ষাটের কিনারে এসেও এখনও যেভাবে পারফর্ম করেন, তা বিস্মিত করে অন্যদের। তিনি জেমস। দেশের সঙ্গীতের অন্যতম তারকা।
দেশ ছাড়িয়ে ভারতে জেমসের অসামান্য জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ ছাড়া যেসব দেশে ছড়িয়ে আছে বাঙালি, সেখানেই উচ্চারিত হয় জেমসের নাম, বাজে তার গান। ফলে প্রায়ই ডাক আসে বিভিন্ন থেকে। যেমন যুক্তরাজ্যে হরহামেশাই কনসার্ট করতে যান জেমস। গত ডিসেম্বরেই একটি কনসার্ট সেরে এসেছিলেন। চার মাস পর আবারও উড়াল দিচ্ছেন ব্রিটিশদের দেশে।
আগামী ২৬ ও ২৭ মে অনুষ্ঠিতব্য 'বাংলাদেশ উৎসব'-এ গাইবেন জেমস। এটি অনুষ্ঠিত হবে লন্ডনের মাইল অ্যান্ড স্টেডিয়ামে। সাধারণত বাংলাদেশি শিল্পীদের বিদেশি অনুষ্ঠানগুলো ছোট পরিসরে, কোনও মিলনায়তনে হয়ে থাকে। তবে জেমস এর আগেও উন্মুক্ত বড় মাঠে, স্টেডিয়ামে পারফর্ম করেছেন। এবারও সেই ধারা অটুট থাকছে।
জেমসের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ম্যানেজার রুবাইয়াত ঠাকুর রবিন বলেন, 'বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল' হলো লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অন্যতম বড় মিলনমেলা। এখানে আরও অনেক দেশ-জাতির মানুষ অংশ নেন। বাংলা সংস্কৃতি চর্চা ও নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য।' জানা গেছে, উৎসবটির আয়োজন করছে নেক্সট স্টেজ ইভেন্ট। এতে জেমসের গান ছাড়াও যাত্রাপালা, বাংলাদেশি খাবারসহ নানা ব্যবস্থা থাকছে। জেমস ১৯৯০ এর দশকে ফিলিংসের মুখ্যব্যক্তি হিসেবে মূলধারার খ্যাতিতে উঠে এসেছিলেন, যা 'বিগ থ্রি অফ রক' এর মধ্যে অন্যতম, যারা এলআরবি এবং অর্কের পাশাপাশি বাংলাদেশে হার্ড রক সঙ্গীত বিকাশ ও জনপ্রিয় করার জন্য প্রশংসিত। ফিলিংসকে বাংলাদেশের সাইকেডেলিক রক এর প্রবর্তক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাকে গুরু নামে অভিহিত করা হয়।
জেমসের উলেস্নখযোগ্য জনপ্রিয় গান হলো- দুষ্টু ছেলের দল, বিজলি, বন্ধু আসবে বহুদিন পরে, তোমার দেখা নাই, আমি তোমাদেরই লোক, জনতা এক্সপ্রেস, তুফান, এত কষ্ট, আমি তোর মনের মতো হতে পারলাম নারে, তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম, জেল থেকে আমি বলছি, ফুল নেব না অশ্রম্ন নিব বন্ধু, লিখতে পারি না কোনো গান আজ তুমি ছাড়া ইত্যাদি।