লন্ডনের টটেনহামে জন্ম তার। বয়স যখন সবে দুই বছর, তখনই তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। মায়ের কাছেই তার বেড়ে ওঠা। মাত্র চার বছর বয়সে স্টেজে গান গাওয়া শুরু তার! কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য, পরিচিতি পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও ১৯ বছর। এখন তাকে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের অন্যতম 'বেস্ট-সেলিং আর্টিস্ট' হিসেবে। যার গানের রেকর্ড ১২০ মিলিয়ন কপির বেশি বিক্রি হয়েছে।
ব্রিটিশ সঙ্গীত তারকা অ্যাডেলের কথা বলা হচ্ছে। যার পুরো নাম অ্যাডেল লরি বস্নম্ন অ্যাডকিনস। যুক্তরাজ্যের ব্রিট স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর ২০০৬ সালে দুটি গান প্রকাশের মাধ্যমে অ্যাডেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। এই সময়ে একটি মজার ঘটনাও রয়েছে গায়িকার। তিনি তার তিনটি গানের একটি ডেমো রেকর্ড ক্লাস প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এক বন্ধুকে দেন। সেই বন্ধু গানগুলো 'মাইস্পেস' নামের পস্ন্যাটফর্মে প্রকাশ করে দেয় এবং সেগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
এরই সুবাদে এক্সএল রেকর্ডিংয়ের পরিচালক রিচার্ড রাসেল ফোন করেন অ্যাডেলকে। কিন্তু বিশ্বাস হয় না গায়িকার। কারণ তিনি তখন রেকর্ড লেবেল হিসেবে শুধু 'ভার্জিন রেকর্ডস'র নাম জানতেন। ফলে রিচার্ডের সঙ্গে দেখা করার সময় এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন অ্যাডেল। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। পরের বছরের অক্টোবরে প্রকাশ হয় তার প্রথম শ্রোতাপ্রিয় গান 'হোমটাউন গেস্নারি'।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অ্যাডেলের খ্যাতি আসে ২০১১ সালে '২১' অ্যালবামটি দিয়ে। প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের বেদনা থেকেই এর গানগুলো তৈরি করেছিলেন তিনি, যা শ্রোতাদের হৃদয় স্পর্শ করে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ৩০টি দেশের টপচার্টের শীর্ষে উঠে আসে অ্যালবামটি। এর পর থেকে শুধু এগিয়ে যাওয়া আর অর্জনের পালস্না ভারী হওয়া। এ পর্যন্ত ১৬টি গ্র্যামি পেয়েছেন অ্যাডেল। এছাড়া ১২টি ব্রিট অ্যাওয়ার্ড, একটি অস্কার, একটি গোল্ডেন গেস্নাব ও একটি প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তিনি।
অ্যাডেল মোট চারটি স্টুডিও অ্যালবাম, একটি ভিডিও অ্যালবাম, ১৭টি মিউজিক ভিডিও, দুটি ইপি ও ১৭টি সিঙ্গেল প্রকাশ করেছেন। সর্বশেষ ২০২২ সালের অক্টোবরে তার গান প্রকাশ হয়েছে। 'আই ড্রিঙ্ক ওয়াইন' শিরোনামের গানটির ভিউ ৫০ মিলিয়ন।